সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষের দেওয়া বন্দোবস্ত চুক্তি বাতিল করে শত শত ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা যাবে না। প্রাণ দিয়ে হলেও জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আমরা প্রতিহত করবোই।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ সায়ের খালধারের দোকান মালিকরা। ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা পৌরসভার জন্ম লগ্ন থেকে খালধারের শত শত দোকান বরাদ্দ দেওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে জানিয়ে তারা বলেন জেলা প্রশাসন একগুয়েমি করে তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত পৌরসভার ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। এতে শত শত মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।
তারা বলেন খালধারের এসব দোকান পাট খাল থক ২৫-৩০ ফুট দুর থাকা সত্ত্বেও তা উচ্ছেদের কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। আমাদের দেওয়া লীজ মানিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার তহবিল সমদ্ধ হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, এখানকার পাঁচ শতাধিক দোকানের ওপর কয়েক হাজার পরিবার নির্ভরশীল। অথচ সৌন্দর্য বর্ধন ও উন্নয়নের নামে এসব ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কাটিয়া ও পলাশপোল এই দুই মৌজার লীজযোগ্য জমিতে তৈরি দোকান পাট ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে তারা বলেন, জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য এক ও অভিন্ন মত প্রকাশ করে সম্প্রতি বলেন, পৌরসভার বন্দোবস্ত দেওয়া জমিতে তারা ব্যবসা করতে পারবেন। অথচ জেলা প্রশাসক পৌর মেয়রকে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে অবস্থিত সব দোকানের বন্দোবস্ত বাতিল করার নির্দেশ দেন। উন্নয়নের নামে লীজ বাতিল করাকে অসাধু উদ্দেশ্যমূলক, অবিবেচক ও একগুয়মির শামিল বলে উল্লেখ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ও মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, প্রাণসায়ের খালধার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলী, দীনবন্ধু মিত্র, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌর দত্ত, কাজী আক্তার হোসেন, মোশাররফ হোসন, সামসুদ্দিন বাবলু, শরিফুল ইসলাম খান বাবু, মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রব, মাকছুদ খান চৌধুরী , শেখ সাঈদউদ্দিন, ডা. হাদি খান, ডা. খুরশীদ , বলাই চন্দ্র দে প্রমূখ।
তবে উচ্ছেদের বিষয়ে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলাধার আইন অনুযায়ী খালধার এভাবে বন্দোবস্ত দেওয়ার বিধান নেই। তার ওপর গ্রহীতারা দুই তিনতলা ভবন তৈরি করে ব্যবসা করছেন। এজন্য তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লেখা হয়েছে। পৌরসভা লীজ বাতিল না করলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উচ্ছ করা হবে । তবে তাদের জন্য পূনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বার্তাবাজার/ডব্লিওএস