মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ: প্রধান আসামী গ্রেফতার

পটুয়াখালীর মহিপুরের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাকিব চৌকিদার (২০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মহিপুরের কমরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার ভোরে ধর্ষিতাকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

এরআগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের শাহ- আলম চৌকিদারের ছেলে অভিযুক্ত রাকিবুল (২০) ও তার দুই সহযোগী কোমরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর চৌকিদারের ছেলে বাবু (২২) ও জয়নাল ফকিরের ছেলে ওবায়দুল (২৪)কে আসামী করা হয়েছে।

মামলার বিবরন সুত্রে জানাগেছে, মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৩) দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে ফোনে কথা বলতো কোমরপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাকিবুলের সাথে ।

গত বুধবার রাত দুইটার দিকে রাকিবুল কিশোরীর দাদীর ফোনে কল দিয়ে কিশোরীকে ঘরের বাইরে বের হতে বলে। কিশোরী সবার অগোচরে ঘরের বাইরে বের হলে কিশোরীর গলায় ছুরি ধরে রাকিবুল তার দুই সহযোগীর সহায়তায় পাশ্ববর্তী বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে।

কিশোরীর পিতার অভিযোগ, প্রায় দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মেয়ে দাদীর কাছেই থাকতো। ঘটনার রাতে কিশোরীকে না পেয়ে তার মা ( কিশোরির দাদী) তাকে জানালে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি করেন।

পরদিন (২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার) সকালে মেয়েকে না পাওয়ার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। ওইদিন বেলা ১২টার দিকে ধর্ষকরা মেয়েকে কুয়াকাটা থেকে একটি অটোতে উঠিয়ে দিলে মেয়ে বাসায় এসে এ ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানান।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. সেলিনা রহমান বলেন, ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রির্পোট হাতে পেলে বোঝা যাবে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) শেখ বেলাল হোসেন জানান, মহিপুরের কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা মামলার প্রধান আসামি রাকিব (২০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর