যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাশিদা খাতুনের বাবার বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি পাশাপাশি। এতোদিন বেশ শান্তিতেই ছিলেন তারা। কিন্তু এখন তার আপন ভাই মোমিনুর ওরফে মনিরুল বোন রাশিদা ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনক পথ দিয়ে যাতায়াতে বাধার সৃষ্টি করছে।

আর এতে মদদ দিচ্ছেন তার মুক্তিযোদ্ধা চাচা আদম আলি ও তার পুত্র জামায়াত নেতা বাবু ওরফে রমজান। এসব নিয়ে রাশিদা পরিবারের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শ্যামনগরের জাহাজঘাটা গ্রামের আজিবর ইবনে আবেদ আলির স্ত্রী রাশিদা খাতুন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন স্বামী আজিবর, ভাতিজা শামিম ও ভাই রেজাউল করিম। লিখিত অভিযোগে রাশিদা বলেন তার আপন ভাই মোমিনুর ওরফে মনিরুল চাচা আদম আলি ও তার ছেলে বাবু ওরফে রমজানের কু পরামর্শে শ্বশুর বাড়ি যাতায়াতের পথ বন্ধ করার পাঁয়তারা করে।

এই পথ দিয়ে যে কেউ হাঁটলে দোষ নেই , রাশিদার শ্বোশুরকুলের লোকজন হাঁটলেই দোষ। এই সংকট দুরীকরনে রাশিদার স্বামী ও শ্বশুর অর্ধশতক জমি কিনে রাস্তায় দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ ওই রাস্তা সংস্কার করতে চাইলে ভাই মনিরুল, মুক্তিযোদ্ধা চাচা আদম আলি ও তার পুত্র জামায়াত নেতা বাবু ওরফে রমজান তাঁতে বাঁধা দেয়।

গত ২৫ জুলাই ইউপি সদস্য সাহিদ রাস্তা পাকা করতে চাইলে প্রতিপক্ষ রাশিদার দেবরের বাড়ির গা ঘেঁষে কাজ করার পরামর্শ দেয়। তিনি বলেন পুরো ৯ ফুটের মধ্যে রাস্তা হবে ৬ ফুট। দুই পাশে দেড় ফুট করে তিন ফুট থাকবে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তাদের পাশে তিন ফুট রেখে রাস্তা বানাতে হবে।

এতে ভাসুর প্রতিবাদ জানালে ভাই মোমিনুর ওরফে মনিরুল, আমিনুর, নুর মোহাম্মদ, মিয়ারাজ, আসলাম, ইয়াসিনসহ অন্যরা লাটিসোটা দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা রাশিদা, তার মেজ জা, শামিম ও স্বামী আজিবরকে মারধর করে।

রাশিদা অভিযোগ করে আরও বলেন তাদেরকে মারপিট করার পরেও তারা উল্টো থানায় যেয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। তারা দম্ভ করে বলেন যে ‘তাদের বাড়ির ছেলে পুলিশে চাকুরি করে। থানা পুলিশ তো আমাদেরই’।

রাশিদা বলেন বিএনপি জামায়াত আমলে মুক্তিযোদ্ধা চাচা আদম আলির ছেলে কড়া জামায়াত নেতার ভূমিকা পালন করেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সেই জামায়াত নেতা রমজান পরিচয় দেয় ‘আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা, ভাই পুলিশ।

এসব পরিচয় দিয়ে আদম আলি রমজান গং এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে বলে অভিযোগ করেন রাশিদা। তাদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে এবং রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার সুযোগ পেতে রাশিদা সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর