আশাশুনিতে ডিলারের ভূল পরামর্শে সর্বশান্ত ঘেরের মালিক

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বিএডিসি’র অনুমোদিত ডিলার বিশেষজ্ঞ সেজে মৎস্য ঘেরে বিষ ও ঔষধ নির্বাচন করে ব্যবহারে প্রলুব্ধ করে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘেরের ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ খুইয়ে ঘের মালিক সর্বশান্ত হতে চলেছে।

ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি বিলে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মুড়োগাছা শাহপুর গ্রামের আঃ গফুর সরদারের পুত্র আজিজুর রহমান কাদাকাটি ইউনিয়নের কামারাবাদ বিলে ১০ বছর যাবৎ মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করে আসছেন।

৫/৬ বিঘা ব্যক্তিগত জমিসহ ২৩ বিঘা জমি ডিড নিয়ে তিনি মাছ চাষ করে থাকেন। এবছরও ঘেরে বাগদা, গলদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছের চাষ করেছেন। ঘেরের পানি ও মাছে সমস্যা দেখা দিলে তিনি বুধহাটা বাজারে বিএডিসির সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সোভা এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারি বিভাষ দেবনাথের কাছে আসেন গত ১০ জুলাই।

বিভাষ ঘের মালিক আজিজুরের কাছে তার ঘেরের অবস্থা শুনে ডলামাইট, ভিটামিনের বোতল ও সবুজ রঙের বোতলে ভরা বিষ (যার গায়ের লেবেল দোকানদার খুলে/ছিড়ে নেন) তাকে দিয়ে ব্যবহারের নিয়মাবালী বরে দেন। ‘কোন চিন্তা নয়, নির্ভয়ে এগুলো ব্যবহার করুন, সমস্যা হলে আমি দায়ি থাকবো’ এমন অভয় ও ভরসার বাণী শুনিয়ে ঔষধ ও বিষেল মূল্য নেওয়া হয় ২৫৩০ টাকা।

এসময় তার সাথে শাহপুর গ্রামের নেহাল উদ্দিনের পুত্র রাশেদ ছিলেন। তারা ঔষধ ও বিষ নিয়ে পাশে আজমীর মোবাইল সেন্টার থেকে মোবাইল ক্রয় করে বাড়িতে ফেরেন। ১২ জুলাই সকালে তিনি মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেন।

কিছুক্ষণের মধ্যে সমস্ত মাছ মরে ভাসতে, তলিয়ে যেতে ও ছোটাছুটি করতে দেখেন। সাথে সাথে তিনি মোবাইলে ডিলার বিভাষের সাথে কথা বলেলে তিনি সকালে বিষ দিয়েছেন কেন, বিকালে দিতে বলেছি, ইত্যাদি বলে নিজের দোষ ঢাকতে চেষ্টা করেন।

কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘেরের অনুমান ৬/৭ লক্ষ টাকার বাগদা ও ছাটি মাছ মরে যায়। কিছু মরা মাছ নিয়ে ঘের মালিক বুধহাটায় আসলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ডিলার বিভাষের কাছে জানতে গেলে তিনি দোষ ঢাকতে “তার কাছে মাল বিক্রয় করেননি” বলে হাকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এমনকি ঘের মালিককে রীতিমত শাসাতে শুরু করেন। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেককে অবহিত করলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ প্রদান করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর