সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী কেনার তদন্ত সম্পুর্ন

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকাল কলেজ অধ্যক্ষের কেনা বিপুল পরিমান ঔষধ, এমএসআর, সার্জারী যন্ত্রাংশ , ভারী যন্ত্রাংশ ও ফার্ণিচার ক্রয়ে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত সম্পন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: রাশিদা সুলতানাসহ ৪ সদস্যর তদন্ত টিম এসে তদন্ত করেন। তবে সাতক্ষীরাবাসীর দাবী বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করতে দুদকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৭-১৮ অর্থ বছরের ৩ জুন এসব ঔষধসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ জানান, ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকার সামগ্রী কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ওষুধ কেনা হয় ৫৯ লাখ টাকার। অন্যান্য সূত্রের দাবী বিভিন্ন বিভাগ মালামাল কেনার পরিমান প্রায় ১৭ কোটি টাকা।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে নিশ্চিত করেছে বিগত ১৭-১৮ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ঔষধ, এমএসআর, সার্জারী, ফার্ণিচারসহ বিভিন্ন দ্রবাদি ক্রয় করা হয়। ক্রয়কৃত পন্যর দাম এবং মান এখনও অদৃশ্য। ফলে কর্তৃপক্ষের কাছে কেনা তালিকা চাওয়া হলে তা দিতে বা দেখাতে অস্বীকার করেন।

এদিকে এসব পন্য সরবরাহ করেন উত্তরা ঢাকার বনি ভালট এন্টারপ্রাইজ। এপ্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারি শাহিনুর রহমান বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল, সার্জিক্যাল, সিরিঞ্জ, ক্যাডগার্ড, সুতাসহ এমএসআর এর বিভিন্ন সামগ্রী তিনি সরবরাহ করে প্রায় দুই কোটি টাকা বিল উত্তোলন করেন। অপরদিকে পল্লবী ঢাকার অনিক ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারি মহশীন উদ্দীন বিভিন্ন প্রকার বইপত্র, ফার্ণিচারসহ অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার বিল উত্তোলন করেন। এদিকে মেডিকেল কলেজ ছাত্র ছাত্রী পড়ানোর জন্য ব্যবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঔষধ কেনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপি খুলনা বিভাগীয় পরিচালক এই তদন্ত করেন। এর আগেও কয়েক দফা অতি গোপনে তদন্ত হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর