ঝিকরগাছায় এক ব্যবসায়ীর ২ দোকান ভাংচুর ও অর্থ লুট

যশোরের ঝিকরগাছার ছুটিপুর বাজারে ব্যবসায়ী আইয়ুব হোসেনের দুটি দোকান ভাংচুর ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে।

‘জমি দখল’ নিতে বাজারের আরেক ব্যবসায়ী ওসমান ও তার লোকজন গতকাল বুধবার দিবাগত গভীর রাতে দোকান ভাংচুর করে আড়াই লক্ষ টাকা লুটপাট করেছে বলে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আইয়ুব হোসেন।

আইয়ুব হোসেন ও তার ছেলে শোভন বার্তা বাজার কে জানান, তাদের ছুটিপুর বাজারের জামতলা সংলগ্ন ক্রয়সূত্রে তাদের ৮০ শতক জমি আছে। এই জমি রাস্তার পাশ ঘেষে রয়েছে সারিসারি দোকান। মাঝ বরাবর দুটি দোকান ভেঙ্গে সেখান দিয়ে পথ বের করার নামে হিংসাত্মক ভাবে লোকজন নিয়ে ভাংচুর চালিয়েছেন ওসমান আলী নামে একই গ্রামের আরেকজন।

তারা বলেন, এই জমি দখলে ওসমান ও তার লোকজন বেশ কিছুদিন ধরে চক্রান্ত করছেন। মাস দুই আগে দুটি দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় তারা থানা পুলিশকে জানায়। এরপর সেই দোকান দুটি ভাংচুর করে লুটপাট করা হলো। প্রতিবাদ করলে ওসমান ও তার লোকজন তাদের বাড়িতেও হামলা চালায়। বসতবাড়ি থেকে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

আইয়ুব হোসেন আরও বলেন, তারা সচীন দাস ও অর্জুন দাসের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছিলেন। পাশে অন্য দাগে তাদের কিছু জমি রয়েছে। সম্প্রতি সেই জমি কিনেছেন ওসমান ও তার লোকজন। এখন ওই জমিতে যাওয়া আসার জন্য ওসমানদের রাস্তা দরকার। এজন্য তারা দোকান ভাংচুর করে সেখান দিয়ে রাস্তা নিয়ে যেতে চায়। হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে ওসমান, শরিফ, তারেক, তুহিন ও কেরামতের নামে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশের কাছে মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিকরগাছা থানার এসআই নজরুল ইসলাম বার্তা বাজার কে বলেন, দোকান ভাংচুরের বিষয়টি সত্য। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিরা জামিন নিয়েছেন বলেও শুনেছি।

এ ব্যাপারে মামলার প্রধান আসামির নিকট জানতে চাইলে তিনি বার্তা বাজার কে ওসমান আলী বলেন, দোকান ভাংচুরের ঘটনা আমি স্বীকার করছি। সেখানে আগে দোকান ছিল না, ছিল রাস্তা। ঐ রাস্তা দিয়ে মিলের মালামাল আনা নেওয়া ও লোকজন আসা যাওয়া করতো। আমার ভাগ্নে জমি কেনার খবর পেয়ে ওই রাস্তার উপর ওরা দোকান ঘর নির্মাণ করেন।

এ্যান্টনি দাস(অপু)/বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর