মেয়ে হত্যার বিচার চাওয়ায় নিরাপত্তাহীন বাবা, যশোরে এসে সংবাদ সম্মেলন

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যার বিচার চাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছেন তার বাবা-মা।‘হত্যা পরিকল্পনাকারী’তুলির স্বামী আটক না হওয়ায় সে এখন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

(রোববার ০৫ই মে)দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এসে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তুলির পিতা শহিদুল ইসলাম।তিনি হলেন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের নুর আলীর ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল জানান, ২০১১ সালে ৮ জুলাই বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মোশারফ হোসেনের ছেলে জুলফিকারের সাথে তার মেয়ে তুলির বিয়ে হয়।তাদের সংসারে দুইটি সন্তান রয়েছে। ২০১২ সালে বিয়ের তথ্য গোপন করে জুলফিকার সরকারি একটি বাহিনীতে চাকরি নেয়।চাকরি পাওয়ার পর সে তুলিকে নিয়ে ঢাকার বালুঘাটে থাকতো।

এরই মধ্যে গোপনে জুলফিকার আরও একটি বিয়ে করে।এই বিয়ের আগে ও পরে যৌতুকের দাবিতে সে তুলির উপর নানা অত্যাচার-নির্যাতন করতো।এক পর্যায়ে তুলিকে তার দুই সন্তানসহ গ্রামের বাড়ি বাঘারপাড়ার পান্তাপাড়ায় পাঠিয়ে দেয়।সেখানে অত্যাচার নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ১৩ এপ্রিল তুলিকে কুপিয়ে জখম করে দেবর শহিদুলসহ তার শাশুড়ি ফরিদা ও ননদ সুরাইয়া। উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শহিদুল আটক হলেও পুলিশ অন্যদের আটক করতে পারেনি। এদিকে,তুলি হত্যার বিচার চাওয়ায় তার পিতা শহিদুলসহ পরিবারের সদস্যরা হুমকির মুখে রয়েছেন। শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, জুলফিকার সরকারি একটি বাহিনীতে চাকরি করায় সে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এজন্য তুলির দুই শিশু সন্তান সহ গোটা পরিবার নিয়ে তিনি নিরাপত্তাহীন জীবনযাপন করছেন। তিনি গোটা পরিবারের নিরাপত্তা এবং তুলি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জুলফিকারের বিচার দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তুলির মা ছকিনা বেগম,বড় ভাই নূর মোহাম্মদ,ছোট ভাই নূর আলম, চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর