তেঁতুলিয়ায় প্রথম বারের মতো ব্লাক রাইস প্রজাতির ধান চাষ

সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথম বারের মতো চাষ হচ্ছে ঔষুধিগুণ সম্পন্ন ব্লাক রাইস প্রজাতির ধান। ব্যতিক্রম ধানক্ষেত এক ঝলক দেখতে ভিড় করেন কৌতুহলী অনেক মানুষ। এই চালে রয়েছে ১১ টি ঔষধিগুণ, প্রচুর ভিটামিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড, কপার, জিঙ্ক, ফাইবারের মাত্রাও বেশ।

এই ঔষুধিগুণ ব্লাক রাইস ক্ষুধা নিবারনের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের ভূমিকা রাখবেন জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এই ধান চাষে অতিরিক্ত ফলন পর্যন্ত ঝুঁকি, খরচ খুবই কম। উত্তরের অঞ্চলে উর্বর মাটি হওয়াই উচ্চ ফলনশীল সহ নানান ধরনের ফসলের আবাদ করে আসতেছেন চাষীরা। এরই মধ্যে তেঁতুলিয়ায় এই প্রথম ভিন্ন প্রজাতির ব্লাক রাইস ধান যোগ হয়েছে। এই ব্লাক রাইস ধান সাধারণ ধানের মতো চাষ হলেও প্রয়োজন হয় না অতিরিক্ত সার ও পানির। অতিরিক্ত পরিচর্যারও প্রয়োজন হয় না। এটি একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধান। সারা বাংলাদেশের কৃষি জমিতে এই ধান ছড়িয়ে দেওয়া গেলে কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।

ওই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ইসলামবাগ গ্রামে এই ধান চাষে সাধারণত কৃষক থেকে শুরু করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। ওই ধান প্রেমি যুবক ওই উপজেলার তিররইহাট ইউনিয়নের ইসলামবাগ গ্রামের ফেরদৌস কামালের
ছেলে মো: সাদেকুল ইসলাম (সুমন)।

সুমন ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ওই যুবক পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিতে অনেক মনোযোগী। তাই তো ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকার গাজীপুর থেকে কালোধানের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। গ্রামের বাড়ির পাশে ৬০ শতক জমিতে ব্লাক রাইস ধান রোপন করেন। কিছু দিনের মধ্যে সেই ধান মাড়াই করেন। এই কালো ধানের উপকারিতা শুনে অনেক কৃষকই এ ধানের বীজ সংগ্রহের অনেক আগ থেকেই বলে রেখেছেন। ২ বিঘা জমিতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ধান বিক্রি করবেন এমন টা জানান ওই যুবক।

এই ধান চাষে খরচ কম, ফলন বেশি হওয়াই অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, প্রতি বিঘাতে ১৫-১৮ মন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এই ধানের চালে মুলত ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর জানান, ব্লাক রাইস একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধান। এ ধান সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।

আল-আমিন/বার্তাবাজার/এ.আর