পর্ণোগ্রাফী নায়িকা শিমুর জামিন নামঞ্জুর

সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকর বহুল আলোচিত পর্ণোগ্রাফী নায়িকা হিসেবে খ্যাত সুমাইয়া আক্তার শিমুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে সাতক্ষীরা শিশু আদালত। রবিবার পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনের (অশ্লীল ভিডিও ধারণ) এর মামলায় অভিযুক্ত সুমাইয়া আক্তার শিমুর জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন সাতক্ষীরা শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। মামলার অভিযুক্ত ১৭ বছর বয়ষ্ক শিমুকে ওই দিন বাগেরহাটের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র থেকে জামিন শুনানির জন্য শিশু আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার বাদী সাতক্ষীরা সদরের এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর এজাহারে উল্লেখ করেন, জয়যাত্রা টেলিভিশনের সাবেক সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি আকাশ ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ ৫/৬ জন বিভিন্ন সময় তাঁর কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিল এবং একজন অপরিচিত মহিলা তাঁর মোবাইলে ফোন দিয়ে প্রেমের অভিনয় করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা বাদিকে বলে আপনার অশ্লীল ভিডিও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে, আমাদের ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে নইলে উক্ত ভিডিও ফেসবুক সহ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে বাদী আসামিদেরকে ৪ লক্ষ টাকা দেন ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য। কিন্তু আসামীরা ভিডিওটি না মুছে ফের বাকী ১১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করতে থাকে। ফলে বাদি সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

তদন্তকারি কর্মকর্তা সামগ্রিক ঘটনার সাথে অভিযুক্ত শিমুর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানতে পারেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় চালান দেন। পরে শিমু ওই মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

ইতোমধ্যে সদর আমলী আদালতে শিমুর জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক সেটি অভিযুক্ত শিমুর উপস্থিতিতে শুনানীর জন্য রবিবার দিন ধার্য রাখেন। তবে এজাহারে শিমুর বয়স ১৮ বছরের নীচে উল্লেখ থাকায় তার জামিন শুনানী শিশু আদালতে করা হয়। দীর্ঘ শুনানীকালে আসামি পক্ষের আইনজীবী শিমুকে শিশু এবং নির্দোষ মর্মে দাবী করলেও বিচারক তাঁর আদেশে উল্লেখ করেন, নথি পর্যালোচনা অন্তে দেখাযায়- অভিযুক্ত শিমুর বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)/ ৮(২) তৎসহ দন্ডবিধির ৩৮৫, ৩৮৬ ও ৫০৬ ধারার সুনিদিষ্ট অভিযোগ আছে, তার অভিযোগ গুরুতর বিবেচনায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে জামিনের প্রার্থনা নামঞ্জুর করা হল। আদেশের পর ফের তাকে নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র বাগেরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

বার্তা বাজার / ডব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর