চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কারনে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। কয়েকদিনে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ফলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা।
গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা দু’হাজারের অধিক চিকিৎসা নিয়েছে চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালে অন্তবিভাগ ও বর্হিবিভাগে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ। ফলে শীতের প্রকোপ তীব্র থেকে তীব্রতর।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন নিউমোনিয়াসহ ৩০ শিশু। কোল্ড ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছে ১৩২ শিশু। এ ছাড়াও ১১ পুরুষ, ২২ জন নারীসহ ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৫৫ জন ভর্তি হয়েছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, হাইপার টেনশন, শ্বাসকষ্ট, পেটের পিড়াসহ ৭ দিনে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। এছাড়া জরুরী বিভাগ ও বহির্বিভাগ থেকে প্রতিদিন গড়ে শিশুসহ চিকিৎসা নিচ্ছে ২৫০ জনের অধিক রোগী।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারূফ হাসান জানান, শীত বাড়লেই শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। তবে, চুয়াডঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা এখনো স্বাভাবিক আছে। বর্তমানে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধের সরবরাহ আছে।
বার্তাবাজার/এমকে