নির্বাচনের পোস্টার লাগাতে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার: মিশ্র প্রতিক্রিয়া

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে ঘিরে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্র্রতিটি উপজেলায় ছেয়ে গেছে পোস্টার আর ব্যানারে। প্রার্থীরা ছুটছে ভোট প্রার্থনায় শিক্ষকদের দ্বারে দ্বারে।

তবে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির জনৈক এক প্রার্থী তার প্রচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়া পোস্টার লাগাতে ব্যবহার করছেন স্কুল পরোয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। যা নিয়ে জেলার সচেতন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

সচেতন মহলের দাবি, এই কোমল মতি শিশুদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েছে শিক্ষার জন্য কিন্তু বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির জনৈক প্রার্থী পাঠদানের পরিবর্তে তার ব্যক্তিগত পোস্টার লাগানোর কাজে তাদের ব্যবহার করছেন যা অমানবিক এবং নির্বাচন আচরন বিধি পরিপন্থি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেরপুর জেলা শাখার সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান আশিকের এই বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হলে তিনি দু:খ প্রকাশ করে তার নিজস্ব ফেসবুকে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলামকে ট্যাগ করে একটি সচেতনামুলক পোস্ট দেন।

পরে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি একটি সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেন এবং পরবর্তিতে এই ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি হলে প্রার্থীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের কথাও যানান।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর