চলন্তবাসে নার্স তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা: আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট

কিশোরগঞ্জে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়- তাদের মধ্যে ৬ জন গ্রেফতার ও ৩ জন পলাতক রয়েছে।

আসামীরা হলেন, বাস চালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া উরফে ল্যাংরা বকুল, বাস মালিক মো. আল মামুন, বোরহান এবং স্বর্ণলতা পরিবহনের এমডি পারভেজ সরকার পাভেল।

এদের মধ্যে ৩ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। চার্জশীটে ধর্ষণ ও হত্যায় বাস চালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া এবং বাস চালকের খালাতো ভাই বোরহান সরাসরি জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আসামীরা ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে হত্যায় জড়িত ছিল।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে চার্জশীট জমা দিয়েছি। কোন আসামী এ মামলা থেকে পার পাবেনা। আমরা এ মামলাটির ব্যাপারে দ্রুত সকল কার্যক্রম গ্রহণ করছি। পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে রাতে ঢাকার মহাখালী থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী ‘স্বর্ণলতা’ নামক বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর শ^াসরোধে হত্যা করা হয়। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে। তানিয়া ইবনে সিনা হাসপাতালের কল্যাণপুর ক্যাম্পাসে সেবিকা পদে কর্মরত ছিলেন। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলপাড় গজারিয়া নামক স্থানে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় তানিয়া ঢাকা থেকে কটিয়াদী ও বাজিতপুরের পিরিজপুর হয়ে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। এ ব্যাপারে গত ৭ মে তানিয়ার বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বার্তাবাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর