কলাপাড়ায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের গৃহীত কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম ও টাকা লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ধুলাসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সিদ্দিক হাওলাদার ভেকু মেশিন ব্যবহারসহ তার স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও অনুসারীদের শ্রমিক বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এমন অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মরিয়া ইউপি সদস্য সিদ্দিক।

৪০ দিনের কর্মসূচির প্রকল্পে নয়-ছয় ও টাকা লুটপাট, শ্রমিকের বদলে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করে নিজ মোবাইল নম্বরসহ তার স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়দের শ্রমিক বানিয়ে কয়েকটি মোবাইল নম্বর উক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগের পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ইউপি সদস্য সিদ্দিক।

উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নে হতদরিদ্রের মাঝে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ৪০ দিনের কর্মসূচির ১২৮ জন লেবারের কাজ, লেবার দিয়ে কাজ না করে বগা (বেকু) মেশিন দিয়ে সামান্য পরিমাণ কাজ করে টাকা আত্মসাৎ করায় ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিক হাওলাদার ও মোঃ রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যদের নামে স্থানীয় মোঃ সুজন এর স্বাক্ষরকৃত এক অভিযোগ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন বরাবর দাখিল করেন। অভিযোগ দাখিলের পর তদন্ত শুরু হয়েছে,ওই তদন্তে প্রকৃত শ্রমিক সাজিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউপি সদস্য সিদ্দিক হাওলাদার।

এর আগেও ধুলাসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিক হাওলদারের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী জেলেরা ইউপি সদস্য সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার ঝড়ে ওঠে, এবং মেম্বার সিদ্দিকীর শাস্তি দাবি জানান।

মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ এর চর সামতি বাদলের বাড়ি হইতে ফরেস্ট অফিস হয়ে পাকা রাস্তা পর্যন্ত ও কাউয়ারচর বটতলা হইতে দক্ষিণে নজরুল এর বাড়ি পর্যন্ত সিপিসি ইউপি সদস্য রফিক ও সিদ্দিক কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহয়তায় সহায়তায় লেবার দিয়ে কাজ না করে বগা মেশিন দিয়ে কাজ করে তাহার অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেদের পকেট/ আয়ের উৎস ভারি করেছে।

এ ব্যাপারে পিআইও অফিসে বার বার অবগত করলে পিআইও অফিস কোন হস্তক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

এ বিষয়ে ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, এমন অনিয়ম জানতে পেয়ে, আমি বিলে স্বাক্ষর করিনি, এখন তদন্তধীন রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৪০ দিনের কর্মসূচিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি করার সুযোগ নেই, এ তদন্ত করতে প্রশাসন মাঠে রয়েছে, প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর