দুর্গাপুরে ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আকস্মিক ঝড়ের তান্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধান ক্ষেত ও আম,লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল (০৬ মে) শনিবার বিকেলে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ ঝড় প্রায় ১ ঘন্টা স্থায়ী ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কালবৈশাখীর তান্ডবে উপজেলার সাত’টি ইউনিয়নের প্রায় গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর ইউনিয়ন ও চন্ডিগড় ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে। লন্ডভন্ড হয়েছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শতাধিক ঘরবাড়ি,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাছপালা। তবে এই ঝড়ে কোন মানুষ নিহত বা আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো,সদর ইউনিয়নের বারমারী উচ্চ বিদ্যালয়, বারমারী লক্ষীপুরের ইসলামিয়া আসাদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা,চন্ডিগড় ইউনিয়নের নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়।

বারমারি গ্রামের রব মিয়া বলেন,শনিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও গাছ ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।

চন্ডিগড় ইউনিয়নের শহিদ মিয়া বলেন,হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে অনেকের বাড়ি ঘরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ ও ডাল-পালা পড়ে অনেক দোকান-পাটও ভেঙে গেছে।

বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গিয়ে দেখেন টিনের চাল ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য) মোহাম্মদ হারিছ উদ্দিন জানান,এই ঝড়ে বারমারি এলাকার বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে অনেক গাছপালা ও ক্ষণিকের শিলা বৃষ্টিতে পাকা বোরো ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।

দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিলোয়ার হোসেন খান বলেন,ঝড়ের তান্ডবে গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে প্রায় ১১ হাজার মানুষ। প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি ৩টি খুঁটি ভেঙে গেছে। আমাদের টিম মেরামতের কাজ করছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন,কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে যতটুকু সম্ভব ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান।

বার্তা বাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর