আজ থেকে ২২ দিন বেকার থাকবেন জেলেরা, দাবি বিকল্প কর্মসংস্থানের!

মা ইলিশ রক্ষা এবং প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। তাই উপকূলীয় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার হাজারও জেলের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রথম প্রহর থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। চলমান থাকবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।

জানা যায়, পূর্ণিমা ও অমাবশ্যাকে কেন্দ্র করে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগরের লোনা পানি থেকে নদীর মিঠা পানিতে আসে। আবার ডিম ছেড়ে সাগরের নোনা পানিতে চলে যায়।

এই সময়ে মা ইলিশ নির্বিঘ্নে আসা-যাওয়া করার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার সময় বেকার থাকতে হবে উপকূলের জেলেদের। এ সময় বিকল্প কোন কর্মসংস্থান না থাকায় জেলেরা পরিবার নিয়ে ভীষণ কষ্টে দিন কাটাতে হবে তাদের।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর মৌসুমের শুরুর দিকে সাগরে কিছু ইলিশ মিললেও নদীতে ইলিশশূন্য। মাছ না থাকায় জেলেরা হয়েছে ঋণগ্রস্ত। ব্যবসায়ীক ক্ষতিরমুখে পড়েছে তারা।

জেলেরা জানান, গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা পড়া শুরু হলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা আবারও ঋণগ্রস্ত হবেন।

উপজেলার চর মোন্তাজ এলাকার জেলে আফাজ উদ্দিন জানান, বছরজুড়ে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকার নামমাত্র চাল সহায়তা দিলেও তা অধিকাংশ জেলে পান না। অনেকে জেলে নন, তারাও এ সহায়তা পাওয়ায় প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হন। এ নিষেধাজ্ঞার জাতাকলে তাই ধারদেনায় বছর বছর জর্জরিত উপকূলের জেলেরা।

আরেক জেলে নির্মল দাস জানান, আমরা প্রতিবার এই অবরোধ মেনে চলি। তবে আমরা জেলে হবার কারনে অবরোধের সময়টাতে বেকার থাকতে হয়। সরকারের কাছে দাবি, যদি এই সময়টায় বিকল্প কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয় আমাদের জন্য তাহলে খুব ভালো হয়।

অনিবন্ধিত জেলেদেরকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরী। পাশাপাশি অন্য পেশার লোকদের জেলে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া প্রয়োজন। এবং সঠিক সময়ে জেলে চাল বিতরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ আহরণ, কেনা-বেচা, পরিবহন, বাজারজাত ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

সাব্বির/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর