জামালপুরে বশেফমুবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সমঝোতা
জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অন্তঃকোন্দল সমাধান হওয়া প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ স্বাধীন বলেন, ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাটি দু পক্ষে মিলে সমঝোতা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর এ জান্নাত অভিযোগ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কোন সমঝোতা হয়নি। মারামারির ঘটনায় মূল ভিকটিম বিদ্যালয়ের যুগ্ম আহবায়ক ইরফান দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইরফান সমঝোতার ঘটনায় কিছুই জানেনা তাহলে কিভাবে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সমঝোতা হলো।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শাকিল আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এই ঘটনায় আমরা সমঝোতা হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য ইনতিসার আহমেদ সান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে কিছু ভুল বুঝাবুঝির কারণে অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে একে অন্যের প্রতি নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগে লিপ্ত হয়। অভ্যন্তরীণ অন্তঃকোন্দলের দরুণ বিগত সময়ে ক্যম্পাসে নানা ধরনের কর্মসূচি-পাল্টা কর্মসূচি এবং গত ১৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং রাতে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে বঙ্গমাতা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় যা মোটেও কাম্য নয়।
ভবিষ্যতে বঙ্গমাতা ছাত্রলীগে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় ও কোনো অক্সকোন্দল না থাকে এ লক্ষ্যে বঙ্গমাতা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যে বৈঠকের মধ্যে বঙ্গমাতা ছাত্রলীগের ভুল বুঝাবুঝি ও অন্তঃকোন্দল অবসান ঘটে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৬৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। তাদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৮ জন যুগ্ম আহ্বায়কসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান/বার্তাবাজার/এম আই