এলাকার উন্নয়নে সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুরে মাওলা সোহেল

মঞ্জুরে মাওলা সোহেল। অবিভক্ত বৃহত্তর ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। নিজের পদে থাকাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা এলো, বিবাহিতদের ছাত্রলীগ থেকে পদ ছেড়ে দিতে। এই ঘোষণার কিছুদিন পূর্বেই দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেছেন এই সফল ছাত্রলীগ নেতা। নেত্রীর ঘোষণা শুনে কালক্ষেপণ না করেই নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। এমনই একজন শৃংখলাপরায়ণ এবং দল ও সংগঠনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছাত্রনেতা মঞ্জুরে মাওলা সোহেল।

প্রচারবিমুখ এই সাবেক ছাত্রনেতা দলের দুঃসময়ে যেভাবে পাশে থেকেছেন, একইভাবে নিজের এলাকা ও এর আশেপাশের এলাকার উন্নয়নের জন্য নিরবে কাজ করে চলেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডে সংগঠনের কোনো পদে না থেকেও নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যেভাবে করেছেন পদে থাকাকালীন সময়েও। পদ থাকুক বা না থাকুক, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং শেখ হাসিনার পরীক্ষিত ভ্যানগার্ড এই ছাত্রনেতার ভিতরের মানুষটি তো একই রয়ে গেছেন।

রাজধানীর অদূরের সাভারের আশুলিয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকায় বসবাস করেন। বর্তমানে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি নিজ এলাকা ইসলামনগর এর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংস্কার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। মাননীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এর সাথে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে নিজে উদ্যোগী হয়ে ইসলামনগর, গেরুয়া, আমবাগান, পানধোয়া সহ বিভিন্ন এলাকার কমবেশী উন্নয়ন কাজে সরাসরি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।

পানধোয়া এলাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর সীমানার কাছে ‘পানধোয়ার ঢাল’ নামে পরিচিত রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরেই কোনো বাতি ছিল না। রাতের অন্ধকারে এই রাস্তা দিয়ে অফিস ফেরত নারী পোশাক শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে হতো নিদারুন আতংকের ভিতর দিয়ে। একেতো এই ঢালের জায়গাটার দুই পাশে জংগলাকীর্ণ ও নির্জন ছিলো, তার উপর এই জায়গাটি মাদকসেবীদের বিচরণ স্থল হিসেবে কুখ্যাত থাকায় চলাচলের পথটি নারী শ্রমিকদের জন্য বিপদসংকুল ছিলো। মঞ্জুরে মাওলা সোহেল নিজে উদ্যোগী হয়ে এই ঢালে একটি সোলার স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা করেছিলেন। এরপর এই ঢালে জাবি’র একটি চারতলা আবাসিক ভবন নির্মিত হলে বর্তমানে সড়কটিতে জাবি কর্তৃপক্ষ রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সর্বপ্রথম এখানে সোলার লাইটের ব্যবস্থা করার দ্বারা কর্মজীবী নারীদের বাসায় নিরাপদে ফিরতে ভূমিকা রাখেন এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

এভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন ইসলামনগর ও এর আশেপাশে মোট ৪০ টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করে আলোয় আলোকিত করেছেন এই আলোকিত মানুষটি। পাশাপাশি এলাকায় মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নে বিভিন্ন অনুদান এনে দিয়ে এবং উন্নয়ন কাজে ফান্ড জোগাড়ে সহায়তা করেছেন তিনি।

নিজের এলাকা ইসলামনগরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন মঞ্জুরে মাওলা সোহেল। এর ভিতরে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ পিচ ঢালাই রাস্তা (আনুমানিক বরাদ্দ ৬৮ লক্ষ টাকা) এবং ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দের আরসিসি ঢালাই রাস্তার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।

এছাড়া কাঁচা সড়ক তথা মাটির রাস্তার উন্নয়নে ২ লক্ষ টাকা সরকারী বরাদ্দের কাজ করিয়েছেন। ইটের সলিং রাস্তার কাজে ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা বরাদ্দের কাজ করিয়েছেন। মোটকথা রাস্তাঘাট উন্নয়নে প্রায় ১ কোটি টাকার বেশি কাজ করিয়েছেন তিনি স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধি না হয়েই!

এলাকার মসজিদ ও মাদ্রাসায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিভিন্ন মাহফিল এর আয়োজন করে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রেখে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়নে বিভিন্ন বরাদ্দ আনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন।

ইসলামনগর কবরস্থান এর উন্নয়ন কাজটি একপ্রকার থমকে ছিলো বলা চলে। মঞ্জুরে মাওলা সোহেল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একে কার্যকর করতে উদ্যোগ নেন। তার উদ্যোগে গত ৯ জুলাই, ২০১৯ ইং তারিখে ২১-সদস্য বিশিষ্ট ইসলামনগর কবরস্থান কমিটি গঠনের মাধ্যমে এটি গতিশীল হয়। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মঞ্জুরে মাওলা সোহেল।

নিজে কোনো জনপ্রতিনিধি হবার জন্য কিংবা নিছক জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য এসব কর্মকান্ডে নিজেকে জড়ান নাই এমনটা জানালেন এই সাবেক সফল ছাত্রলীগ নেতা। নিজ এলাকার উন্নয়ন এবং এলাকাবাসীর ভালোমন্দে পাশে থাকাটাই তার কাছে মূখ্য এবং ভালোলাগার বিষয়। আর শুধু এই ভালোলাগা থেকেই এসব করছেন বললেন ববিভক্ত বৃহত্তর ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরে মাওলা সোহেল।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর