গুরুদাসপুরে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম, স্বামী গ্রেফতার
যৌতুকের টাকা না পেয়ে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে নববধুর (১৯)পায়ুপথে সঙ্গম করে পাষন্ড স্বামী। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে অসুস্থ্য স্ত্রী হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। অসহ্য ব্যাথায় স্ত্রীর মিনতিও মন গলাতে পারেনি পাষন্ড স্বামীর।
স্ত্রীর রক্তক্ষরন ও চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে নববধুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পার-গুরুদাসপুর মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার নথিসুত্রে জানা যায়, সাতমাস আগে পারিবারিকভাবে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের পার-গুরুদাসপুর মহল্লার মানিক উল্লাহর ছেলে মুক্তার হোসেনের (৪০) সাথে ওই নববধুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকলোভী স্বামী মুক্তার ওই নববধুকে কারনে-অকারনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন বলে জানান নববধুর পিতা রাশিদুল ইসলাম।
গত রবিবার (২৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে স্বামী মুক্তার হোসেন যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে নববধুর যৌনাঙ্গে ও পায়ুপথে উপর্যোপরি নির্যাতন করে। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরনে ওই নববধু অসুস্থ্য হয়ে পরলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে ওই গৃহবধুর পিতা মো. রাশিদুল ইসলাম বাদি হয়ে মেয়ে জামাই মুক্তার হোসেনকে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধু জানান, বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে তাঁকে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন স্বামী মুক্তার হোসেন। নিষেধ করলে তিনি শারিরীকভাবে নির্যাতন করতেন। দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন ওই গৃহবধু।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অরিফা আফরোজ বানু জানান, নববধু বিকৃত যৌনাচারের আলামত নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। স্বামী-স্ত্রী মধ্যে যৌন অনাচারের বর্ননা রোগীর মুখে শুনেছি। তবে ঘটনার দুদিন পরে চিকিৎসা নিতে আসায় স্বল্প আলামত পাওয়া গেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ওই নববধুর স্বামী মুক্তার হোসেন যৌন উত্তেজক বড়ি সেবনের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, তার স্ত্রী গর্ভবতী। বেশ ক’দিন বিরতির পর তার সাথে শারিরিক মিলনের কারনে রক্তক্ষরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, ওই ঘটনায় গৃহবধুর বাবা রাশিদুল ইসলাম বাদি হয়ে তার মেয়ে জামাই মুক্তার হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। দ্রুততম সময়ে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মেহেদী/বার্তাবাজার/এ.আর