তাড়াশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নলকূপ স্থাপনের প্রতিবাদে কৃষকদের বিক্ষোভ

এম এ মালেক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নলকূপ স্থাপনের প্রতিবাদে ব্যতিক্রম বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে লুৎফর রহমান নামে এক সংযোগ প্রত্যাশী কৃষক তার ক্ষেতের আইলে দাঁড়িয়ে বিএডিসি/পানাশী’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.ইসরাফিলের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেন আরও অর্ধ শতাধিক কৃষক। উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুরপিপুল গ্রামের ভুক্তভোগী ওই কৃষক বলেন, পাশ্ববর্তী দোগাড়ীয়া গ্রামের কাবিল উদ্দীন নামে এক কৃষক আড়ংগাইল মৌজায় অন্য এক কৃষকের জমিতে বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর আওতায় তাড়াশ জোনাল অফিসে আবেদন করেন।

তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেচ সংযোগের স্থান পরিদর্শন করেন তাড়াশ জোনাল অফিস। এরপর নীতিমালা অনুযায়ী অনুত্তীর্ণ হওয়ায় (নিজস্ব জমি না থাকায়) আবেদনটি বাতিল হয়। পরবর্তীতে বিএডিসি/পানাশী’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইসরাফিল হোসেন ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন দেয়ার পায়তারা করছেন।

এ সময় দোগাড়ীয়া গ্রামের কৃষক ইসাহাক আলী, জাহিদ উদ্দিন, আবু সাইদ, রাজু আহাম্মেদ, আবু জাফর, হারেজ আলী, কাজেম আলী, হায়দার আলী প্রমূখ জানান, লুৎফর রহমান নামে ওই কৃষক তার ১৭ বিঘা আবাদি জমি দীর্ঘদিন যাবৎ ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর আওতায় তাড়াশ জোনাল অফিসে আবেদন করেন।

অথচ বিএডিসি/পানাশী’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী লুৎফর রহমানকে নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন না দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাবিল উদ্দিনকে দেয়ার পায়তার করছেন। শুধু তাই নয়, কাবিল উদ্দিনের আবেদনকৃত স্থানের পাশেই বর্তমানে পাঁচটি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ ও বিএডিসি/পানাশী প্রকল্পের আরও একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইসরাফিল এ পর্যন্ত ৭৬টি অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন। এছাড়াও বিধান না থাকার পরেও তিনি অফিস রেজুলেশনের মাধ্যমে নলকূপ অনুমোদনের তদন্তের সময় এক হাজার করে টাকা নিয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে বিএডিসি/পানাশী’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইসরাফিল জানান, কৃষকদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহনের বিষয়টি সত্য নয়। তবে অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে তদন্তের সময় বিভিন্ন খরচ বাবদ এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর