শেরপুরে এক বছরে ২শ ৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -৩১, আহত- ৫৬১

রাশেদুল হক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে- ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে শেরপুর উপজেলায় গত এক বছরে ২শ ৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫শ ৬১ জন। শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনে জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০১৯ ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের দুর্ঘটনার এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কার্যলায় সুত্রে জানা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার ঘোগাবটতলা, ছোনকা বাজার, রানীরহাট মোড়, মির্জাপুর বাজার, শেরুয়া বটতলা, হামছায়াপুর, ধুনটমোড়, হাসপাতালরোড, বাসষ্ট্যান্ড, কলেজরোড, মহিপুর বাজার, গাড়ীদহ মহাসড়কগুলোতে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২০১৮ জুলাই মাসে ২৫টি দুর্ঘটনায় আহত ৩১ নিহত ১, আগষ্ট ২৭টি দুর্ঘটনায় আহত ৩৬ নিহত ১, সেপ্টেম্বর ৩১টি দুর্ঘটনায় আহত ৯৯ নিহত ৪, অক্টোম্বর ১৭টি দুর্ঘটনায় আহত ৫২ নিহত ২, নভেম্বর ৯টি দুর্ঘটনায় আহত ৯ নিহত ৪, ডিসেম্বর ২৩টি দুর্ঘটনায় আহত ২৮ নিহত ১। চলতি বছরে জনুয়ারি মাসে ২৬টি দুর্ঘটনায় আহত ৪৬, ফেব্রুয়ারী ১৫টি দুর্ঘটনায় আহত ২৮ নিহত ৩, মার্চ ১৮টি দুর্ঘটনায় আহত ১৯ নিহত ১, এপ্রিল ২৬টি দুর্ঘটনায় আহত ৩৫ নিহত ৩, মে ১৭টি দুর্ঘটনায় আহত ২১ নিহত ৩, জুন ৪৭টি দুর্ঘটনায় আহত ১শ ৫৭ নিহত ৭। এ সকল দুর্ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন হাত, কেউ হারিয়েছেন পা, অনেকই কর্মক্ষমতা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা এখন নিজ নিজ পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীরা বলেন, এসব সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ার পেছনে রয়েছে- চালকের আসনে হেলপার, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, যানবাহনে অতি পণ্য বা যাত্রী বহন, সড়ক-মহাসড়ক ও রাস্তা-ঘাটের নির্মাণ ক্রটি, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত দখলে থাকা। এগুলোর সমাধান হলেই সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে আমরা আশাবাদি।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান বকুল মিয়া জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মহাসড়কগুলোতে ইজি বাইক, সিএনজি, নছিমন, করিমন ও ভটভটি অবাধে চলছেই। এই চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মোঃ রতন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে অবশ্যই মহাসড়কগুলোয় ছোট গাড়ির জন্য আলাদা লেন চালু করতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষিত করে সব সড়ক থেকে অবৈধ যানবাহন চলাচল শতভাগ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক-মহাসড়কগুলোর কারিগরি ত্রুটির সমাধান করতে হবে। কারণ, মহাসড়কে হতাহতের সংখ্যা বেশি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর