ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে ঢাকার হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থা

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে শনাক্ত হয়েছে বহুদিন আগে। দেশের সীমান্ত এলাকার পর এবার সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে। দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা মেডিকেলে ১০-১৫ জন করোনা রোগী আসতো। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০-৩৫ জনে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিন পর হাসপাতালে আর রোগী জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, এভাবে যদি ৩০-৪০ জন রোগী ভর্তি হয় তাহলে ১০ দিন পর হাসপাতাল পূর্ণ হয়ে যাব। তখন আর কাউকে জায়গা দিতে পারবো না। আমরা এখন সামনে একটা পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি যা ভয়াবহ।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে এরই মধ্যে দেশে জেলাভিত্তিক লকডাউন শুরু হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

সংক্রমণ রোধে এলাকাভিত্তিক লকডাউনকেই ভালো উপায় বলছে আইইডিসিআর। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে আইইডিসিআর।

এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এসএম আলমগীর বলেন, যত বেশি ট্রান্সমিশনে ভাইরাস থাকবে ততবেশি রূপ বদলাবে। লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ট্রান্সমিশন সাইকেলটাকে ভাঙা। এটার চেষ্টা করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গাতে। আর এটা অন্যতম পন্থা।

তিনি আরও বলেন, লকডাউনের পাশাপাশি টেস্ট ও আইসোলেশন বাড়াতে হবে। টিকা দান কর্মসূচিকে আরও গতিশীল হতে হবে। হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অনেক রোগী হবে যা ঠেকানোর মত অবস্থা আমাদের হাসপাতালে নেই।

বার্তা বাজার/নব

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর