পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে সেন্টমার্টিন

দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ হচ্ছে সেন্টমার্টিন। সাগর বেষ্টিত দ্বীপটির চারদিকে শুধু নীল আর নীল। উপরে নীল আকাশ, নিচে তারই প্রতিচ্ছবি জলের শরীরে। ভ্রমনে পর্যটকদের পছন্দনের প্রথম স্থানে থাকে এই দ্বীপটি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে এবার সেই সেন্টমার্টিন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি আঘাত হানবে সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমার উপকূলে এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে আশংকা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের বড় একটি অংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যেতে পারে। যারা সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়ে আছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা না হলে প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ গবেষকের পর্যবেক্ষণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার পূর্বাভাস মডেলের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা স্থলভাগের প্রথম যে স্থানটিতে আঘাত করবে তা হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক বিজ্ঞানী ড. আব্দুল মান্নান বলেন, মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পানির নিচে চলে যাবে, এটা নিশ্চিত। তবে সেটা স্থায়ীভাবে নয়। পাঁচ থেকে সাত ফুট জলোচ্ছ্বাস হলে তো সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভেসে থাকার কথা নয়। শুধু জলোচ্ছ্বাস নয়, আজ থেকে আগামীকাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে ভরা জোয়ার আছে। সব ঘূর্ণিঝড় অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমাতে আসে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে জোয়ারের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি হয়। সেন্টমার্টিনে আজ ভরা জোয়ার থাকবে এবং আগামীকাল কিছুটা কমবে। এবার সেন্টমার্টিনের জোয়ার কিন্তু পিক টাইমই ফলো করছে। মানে মোখা উপকূলে আসার সাথে সাথেই জলোচ্ছ্বাস শুরু হবে।

সাধারণত কোনো এলাকার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় গেলে মিনিমাম ওইসব এলাকায় ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চলে। ফলে সব স্থাপনাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ, ওখানে কিন্তু বড় কোনো বাউন্ডারি করা হয়নি। সুতরাং, সেন্টমার্টিনের বড় ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান সাবেক এ আবহাওয়াবিদ।

বার্তা বাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর