হাতিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণকালে হামলা, আহত ১

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ত্রাণের চাল শিবির পন্থী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে বিতরণ কালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরের দিকে উপজলার চরকিং ইউনিয়নের আফাজিয়া বাজারস্থ হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাংলাদশ কুটির, হাতিয়ার’ সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মঞ্জু (৩২) আহত হয়েছেন।

হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ কুটির হাতিয়ার সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মঞ্জু জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেনের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার বিতরণের জন্য দুই হাজার লোকের একটি তালিকা তৈরী করে জমা দেন। দুইদিন আগ থেকে তাঁরা ত্রাণ বিতরণ শুরু করেন। বুধবার সকালে তালিকা অনুযায়ী ৬শ লোকর মাঝে উপহার বিতরণের জন্য আফাজিয়াস্থ হাতিয়া ডিগ্রি কলজের মাঠে গেলে ৫০-৬০ জন লোক তাঁর ওপর হামলা করে।

ঘটনাস্থলে উপস্তিত উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাজেদ উদ্দিন জানান, প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ত্রান বিতরণ শুরু হয়েছিলো। পরে লোকজন এসে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মঞ্জুকে দেখতে পেয়ে বাধা দেয়। মঞ্জু শিবিরের একনিষ্ঠ একজন কর্মী বলে জানান তিনি।

সাজেদ আরো জানান, এই ঘটনার কিছুক্ষন পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে বিতর্কীত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের তাড়িয়ে দিয়ে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে ত্রান বিতরণ করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, এই সংগঠনের কর্মীদের সাথে জামাত শিবিরের সম্পৃক্ততা আছে এটা আমার জানা ছিলোনা। এখন থেকে ত্রান বিতরণে আর তাদেরকে রাখা হবে না।

এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রধানমমন্ত্রীর উপহার ত্রান সামগ্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতরণ করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিতরণ জামাত শিবির সমর্থক কিছু লোক জড়িত থাকায় এলাকার উত্তেজিত জনতা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর সাথ আমাদের দলের কোন লোক জড়িত ছিলোনা।

এ বিষয় জানতে চাইলে ইউএনও মো. ইমরান হোসেন বলেন, হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করেছি। এখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছিলো। তাঁদের সাথে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। পরে আমি উপস্তিত থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছি। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা পালন করেছে।

সরকারি ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেন বিতরণ করেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও দাবি করেন, না, তারা বিতরণ করছে না। তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছে। বিতরণ আমরাই করেছি, সরকারি অফিসের মাধ্যম। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের মাধ্যমেই তালিকা হয়েছে।

জিল্লুর রহমান রাসেল/বার্তাবাজার/ভিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর