ঘূর্ণিঝড় মোখা : আতঙ্কে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ছে লোকজন

‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার খবরে আতঙ্কিত হয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ছে দ্বীপে অবস্থানরত বহিরাগত ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা।

শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় ৩ শতাধিক দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা ও ২ শতাধিক বহিরাগত বিভিন্ন পেশাজিবীরা দ্বীপ ছেড়ে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য নোমান।

ইউপি সদস্য নোমান ‘বার্তা বাজার’কে বলেন, ‘সকাল থেকে আতংকে মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে। মোখা আঘাত হানলে দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি বিগত সময়ের চেয়ে বেশি হতে পারে। তাই লোকজনকে সতর্ক করতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দ্বীপের অন্যান্য এলাকা নিরাপদ মনে করা হলেও দক্ষিণ পাড়ার কোন সাইক্লোন সেল্টার নেই। এই এলাকার প্রায় ২ হাজার লোক চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দ্বীপের তিন তলা সরকারি হাসপাতাল, জেলা পরিষদ, নৌবাহিনী ও পুলিশের ভবনসহ প্রায় ৩০০টি হোটেল-কটেজে আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

টেকনাফ সিপিপি অফিস ইনচার্জ মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বিশেষ জোন সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিক্যাল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দক্ষিণ পাড়ায় সাইক্লোন সেল্টার না থাকলেও জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে দ্বীপে দায়িত্বরতদের দক্ষিণ পাড়ার লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে অনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া মনিটরিং সেল থেকে নিয়মিত দ্বীপের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর