জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে শিশুরা নদী পেরিয়ে স্কুলে যায়-আসে!

তিন দিকে বৈরান নদী। এক দিকে জামতলী বিল। মাঝে দ্বীপের মতো দুটি গ্রাম জামতৈল ও নবগ্রাম চরপাড়া। দুইগ্রামে বাস করে পাঁচশতাধিক পরিবার। গ্রামের শত শত শিশু প্রতিদিন নদী পেরিয়ে স্কুলে যায়-আসে। পারাপারের মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।

নদীর পানি বেড়ে গেলে এ সাঁকোর অনেকটা তলিয়ে যায়। তখন বড়রা হাতল ধরে পারাপার হলেও শিশুরা পড়ে বেকায়দায়। তাদের অতিকষ্টের পারাপার দেখলে যে কারোর বুক কাঁপে। সাঁকো পেরিয়ে আবার ডুবে যাওয়া খেতের আইল ধরে পরনের কাপড় ভিজিয়ে কতোক্ষণ হেঁটে শিশুদের পাকা সড়কে উঠতে হয়। এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে গ্রামের শিশুরা নদী পারাপার ও পড়ালেখা করে। সাঁকো পিছলে অনেকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

গ্রামের মাতব্বর আলতাফ হোসেন জানান, প্রতিদিন বহু মানুষ এ সাঁকো পেরিয়ে হাটবাজারে যায়। বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের সাঁকো পেরুতে অবর্নণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্রামবাসীর দাবি একটি সেঁতু। নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু সাড়ে চার দশকে কেউ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে আসেননি।

গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাভেদ হোসেন জানান, এসব দুর্গম জায়গায় সরকারের সেতু নির্মাণের কথা রয়েছে। এলাকাবাসী যোগাযোগ করলে বিষয়টি দেখা হবে।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর