শেরপুরে ড্রেনের পানি ও ময়লা উপেক্ষা করে চলছে ঈদের কেনাকাটা

রাশেদুল হক, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার মার্কেটের পিছনের রাস্তায় ড্রেনের পানি ও ময়লা আবর্জনা উপেক্ষা করেই চলছে সাধারণ মানুষের ঈদের কেনাকাটা।

জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গড়ে উঠেছে শেরপুরের বিখ্যাত বিপনী মার্কেট গুলো। ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল আযহা ও পুজোর মধ্যে এসব মার্কেট থেকেই কেনাকাটা করে হাজার হাজার মানুষ। আর কেনাকাটা করতে গিয়ে রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তারা।
এখন চলছে ঈদ-উল-ফিতরের কেনাকাটার ধুম। গ্রাম থেকে গ্রামা লের মানুষ তাই ভিড় জমিয়েছে এ সকল মার্কেটে। কিন্তু ভালোভাবে মার্কেট করতে এসে শরীর ও পোশাকে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ময়লা আবর্জনা। মার্কেটের পিছনের রাস্তা ময়লার স্তুপে পরিণত হওয়ায় ঘটছে এমন ঘটনা। আর এই ময়লা ও ড্রেনের পানি একদিনের নয় বহুদিনের। এছাড়াও মার্কেটের রাস্তার দুধারে অবৈধভাবে বিভিন্ন দোকান গড়ে ওঠায় চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে ক্রেতাদের।

এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, রাস্তার দুধারে মার্কেট থাকায় আমাদের কেনাকাটা সহজ হওয়ার কথা। কিন্তু এই চাপা রাস্তার দুধারে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে ওঠায় ও ড্রেনের পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় ড্রেনের পানি রাস্তায় চলে এসেছে এবং সকল দোকানের ময়লা আবর্জনা রাস্তায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে তাই আমাদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং শরীর ও জামা কাপড়ে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা লেগে যাচ্ছে। এর কি কোন প্রতিকার হবেনা ? নাকি এভাবেই আমাদের আজীবন ময়লার মধ্যে দিয়েই কেনাকাটা করতে হবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজসেবক রাহুল আলম লিমন জানান, আমি এই বিষয়টি ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যামকে অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু তিনি তার প্রতিকার না করে উল্টো আমাকে দোষারোপ করেন এবং বলেন নিজেরাই এ কাজগুলো করিয়ে নাও পৌরসভা এর দায়ভার নেবে না।
এ ব্যাপারে ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অনেকদিন হলো মার্কেট রোড দিয়ে পানি গরে আসছে। আমি মার্কেটগুলোর কমিটিকে মেয়র বরাবর একটি আবেদন দিতে বলেছি। আবেদন দিলে ওই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর