ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা হোক!

তারিকুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি (শেরপুর): রমজান শেষে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে বাস, বিভিন্ন যানবাহন, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদির চালকেরা সুযোগ বুঝে যাত্রীদের কাছ থেকে ন্যায্য ভাড়ার বেশি (অতিরিক্ত) ভাড়া আদায় করে থাকেন। যাত্রীদের কাছ থেকে একদিন নয়, দুইদিন নয় প্রায় ১ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় ধরে ভাড়া আদায় করে নেয় তারা। এতে করে তারা যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে দিনের পর দিন সপ্তাহ জুড়ে। বেশি ভাড়া নেয়ার পরও তারা তাদের বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠিয়ে থাকে। এতে ঈদে বাড়ি ফেরা এসব যানবাহনের যাত্রীদের সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এতে বহু যাত্রীর প্রাণ চলে যায় অকালে। কিন্তু তারপরেও চালক হেলপারদের কসাইয়ের মত আচরণ বন্ধ হয় না।

অনেক সময় দেখা যায়, চালকরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালায়। ফলে ঘটে থাকে সড়ক দুর্ঘটনা। এছাড়াও ওইসব যানবাহনে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার প্রতিবাদ করায় যাত্রীদের অনেক সময় হেলপাররা গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। ভাড়া দুই-এক টাকা কম দিলে চালক এবং হেলপার মিলে যাত্রীদের নানা রকম অশালীন ভাষা প্রয়োগ করে থাকেন।
ঈদ সামনে রেখে যাত্রীরা যাতে নির্দিষ্ট ও ন্যায্য ভাড়ার বিনিময়ে যানবাহনে চলাফেরা করতে পারেন এবং অসাধু চালক হেলপাররা বেশি ভাড়া আদায় করতে না পারে এজন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের নজরদারী ও সজাগ দৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও সড়ক নিরাপত্তায় ট্রাফিক, পুলিশসহ নিরাপত্তা কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি ও কঠোর হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলে এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। ঈদ এলেই এসব চালক হেলপারদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে হয়ে থাকে পোয়াবারো।

ঈদে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, প্রতিবারই আমরা ঈদের যাত্রী ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলি। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না। যাত্রী সাধারণ যেন ন্যায্য ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারে সেদিকে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রয়েছে। তবে ঈদের আগে ঢাকা-শেরপুর ও ঈদের পরে শেরপুর-ঢাকা ফিরতি ট্রিপে গাড়ি খালি থাকে। এ কারণে কিছুটা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। এছাড়াও তিনি বলেন, শেরপুর জেলা থেকে চলাচলকারী দূরপাল্লার বাসগুলিতে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়া আদায় করলেও মূলত গাজীপুর, ঢাকা জেলার যানবাহন গুলি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে। আর এতে করে প্রভাব পড়ে শেরপুর বাস-কোচ মালিক সমিতির উপর।

এব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জন কেনেডি জাম্বিল’র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঈদে বাড়িফেরা দূরপাল্লার যাতায়াত্রে যাত্রী ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জনসাধারণের দাবিতে যৌক্তিক উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে পরিবহন মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর