মুরাদনগরে সৎ মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা

আমিতো উনআকে বাবা বলে ডাকি, একজন মানুষকে বাবা ডাকার পরেও যদি তার কাছে নিরাপত্তা না পাই, আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। তাহলে পৃথিবীর কোথায় নিরাপত্তা পাবো আমাকে কেউ বলতে পারেন। সাংবাদিকদেরকে দেখে এভাবেই অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী তার সাথে ঘটে যাওয়া নেক্কার জনক ঘটনার বিবরণ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ বছর আগে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের গনি মিয়ার মেয়ে হেপি আক্তার(৩০)’কে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন মুরাদনগর উপজেলার গকুলনগর গ্রামের জাকির হোসেন(৪০)। বিয়ের দু’বছর পর হেপি আক্তারের ছোট বোন মর্জিনা আক্তারের বিয়ে হয় শিবপুর গ্রামের আলীম মিয়ার ছেলে জিবন মিয়ার সাথে। বিয়ের পর এক কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তানের মা হন মর্জিনা আক্তার। পরে গত ৮ বছর আগে মর্জিনা তার স্বামীর বাড়িতে বড় বোনের জামাই জাকির হোসেনের সাথে অপ্রিতিকর অবস্থায় ধরা পরেন । এ খবর জানাজানি হলে স্থানীরা জাকির হোসেনের সাথে মর্জিনার বিয়ে দিয়ে দেন। তার পর থেকে মর্জিনা ও তার দুই সন্তানকে নিয়ে জাকির হোসেন উপজেলার নবীপুর (পূর্ব) ইউনিয়নের গুঞ্জর উত্তর পারা গ্রামে বসবাস করে আসছিলো। গত কয়েক দিন ধরে জাকির হোসেন ফোনে তার সৎ মেয়ে (১৬)কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তাতে সে রাজি না হওয়ায় গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাকির হোসেন মর্জিনা আক্তার ও তার মেয়ে (১৬)কে শরবতের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে সৎ মেয়ে(১৬)কে ধর্ষনের চেষ্ট করে। পরে মেয়ে বুজতে পেরে তাকে বাধা দিলে জাকির তাকে বেধরক মারধর করেন এতে মর্জিনা সজাগ হয়ে বাধা দিলে মর্জিনাকেও জাকির মারধর করে সৎ মেয়ে (১৬)’র পরনের কাপর ছিরে ফেলে জাকির। মর্জিনার সহযোগীতায় মেয়ে (১৬) দৌড়ে ঘর থেকে বাহিরে গিয়ে বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে মেয়েটি জাকিরের বড় স্ত্রী হেপি আক্তারের কাছে আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে জাকিরের স্ত্রী হেপি আক্তার বলেন, ঘটনার সময় আমি গকুলনগর আমার স্বামীর বাড়ীতে ছিলাম পরদিন মঙ্গল সকালে শুনতে পেয়ে আমি আমার বাবার বাড়িতে এতে আমার ছোট বোনের মেয়ে(১৬)কে নিয়ে সকাল ১০টার দিকে মুরাদনগর থানায় যাবার পথে জাকির ও এলাকার কিছু ক্ষমতাধর লোকজন আমাদেরকে বাধা দেয় বলে বাড়ী চলে যাও আমরা পারিবারিক ভাবে বসে মিমাংসা করে দিবো। আমি রাজি না হওয়ায় জাকির আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে এখন ঘর থেকে বাহিরে যেতে পারছিনা।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই, আর এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর