রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করার দাবীতে পটুয়াখালীতে এক মুক্তিযোদ্ধার আকুতি

চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া বিরোধপূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন দখলীয় জমিতে মসজিদ নির্মানের নামকরে সাইনবোর্ড টানানোর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আঃ আজিজ মল্লিক। ১৮ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিধখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আঃ আজিজ মল্লিক। তিনি লিখিত প্রতিবাদ বক্তব্যে বলেন, আমি কলেজ পাঠ শেষ করে ১৯৬৬ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করে পশ্চিম পাকিস্তানে প্রশিক্ষন নেই। যুদ্ধ অনিবার্যভেবে কৌশলে ১৯৭১ সনের ২২ ফেব্রæয়ারী ঢাকায় অবতরন করি। ২৬ মার্চের পরে শতাধিকজনকে সুবিধখালী র.ই. মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রশিক্ষন দেই।

পাকবাহিনী পটুয়াখালী দখলে নিলে গা ঢাকা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করি। দেশ স্বাধীনের পরে অনেক কষ্টের মাঝে একটি ভাল দোকানের জন্য পূর্ব সুবিধখালী মৌজার ২২৮ নং দাগে জমি ক্রয় করি। ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মান করলে ২৭/৯১ বন্টন মোকদ্দমা চলাকালিন অবস্থায় র.ই. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের দ্বারা ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে। বন্টন মামলায় প্রথমবার রায়ে ২২.৫০ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হয়ে দোকান ঘর ওয়াল দিয়ে নির্মান করি এবং পিছনে ৩ তলা একটি ভবন নির্মানে গ্রেড ভিমের উপড়ে ৬টি কলম নির্মিত হলে তৎসময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান বাধা দিলে কাজ বন্ধ রাখি। স্কুল কর্তৃপক্ষ আপিল করলে পুনঃবিচারের জন্য মামলাটি নি¤œ আদালতে প্রেরন করে এবং দ্বিতীয়বার রায়ে ২৪.৫০ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে ৪টি আপিল মোকদ্দমা দায়ের করে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের প্রাঙ্গনের বাহিরে নামমাত্র দলিল নিয়ে স্কুলের প্রাঙ্গনে থাকা টিনসেড মসজিদটি ১৯৬৯ সালে রেকর্ডীয় মালিক মন্নান খানের ঘর ভেঙ্গে স্থাপনা করে। পরবর্তীতে কুয়েতী সাহায্যে একটি বড় পাকা মসজিদটি নির্মান করে। অদ্যবধি স্কুল বা মসজিদ কর্তৃপক্ষ ০১ শতাংশ জমির রায় পায়নি এবং ভবিষ্যতেও পাবে না। কারন স্কুলের পূর্বের দলিল গ্রহীতারাই জমি পায়নি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর