ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির (১৮) মরদেহ তার গ্রামে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মরদেহ সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে পৌঁছায়।
সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিল হাজার হাজার মানুষ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এত মানুষের ঢল শুধু নামাজের জানাজায় অংশ নেয়াই উদ্দেশ্য নয়। এটা এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদও বটে।
মাঠে উপস্থিত হয়েছেন, নুসরাতের বাবা-ভাইসহ স্বজনরা। নামাজের আগে বক্তব্য দেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।এর আগে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে মারাত্মক দগ্ধ হয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাফি।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে রাফিকে সমাহিত করা হবে।সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি। নুসরাত সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসার মেয়ে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
ওই ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।