বুধবার মুন্সিগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস নানা আয়াজন পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মুন্সিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।
বেলা সাড়ে ১১টায় মুন্সিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশ নেয় জেলা বীর মুক্তিযোদ্ধারা, জেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। র্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাব উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুনেছা ইন্দিরা। জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব হোসেন, সদর উপজলা চেয়ারম্যান আনিসউজ্জামান আনিস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সানের আজকের এই দিনে মুন্সিগঞ্জ থেকে হানাদার মুক্ত হয়। ৭১সালের পহেলা ডিসেম্বর থেকেই জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধ যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পরতে থাকে, ক্রমেই কোণ্ঠাসা হতে থাকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। ১০ ডিসেম্বর রাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুন্সিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দিক থেকে হানাদার বাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্যাম্প হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রাবাসের দিকে এগোতে থাকেন।
এরপর পক্যাম্পের চারদিক ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। শেষে কোনো কূল-কিনারা খুঁজে না পেয়ে হানাদার বাহিনী ১১ ডিসেম্বর ভোরে দিকে মুন্সিগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় করে। শক্রমুক্ত হয় মুন্সিগঞ্জ। গা ঢাকা দেয় পাক বাহিনীর দোসর রাজাকাররাও। আর ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের আকাশে ওড়ে বিজয় কেতন, মুক্ত হয় মুন্সিগঞ্জ।
বার্তাবাজার/এমকে