নীলফামারীর ডিমলায় বৃহস্পতিবার দিন দুপুরে হাটের গাছ কর্তন করার সময় এলাকাবাসী বাধার মুখে ডাল নিয়ে পালিয়ে গেলের গ্রাম্য পুলিশসহ ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন। উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের সুটিবাড়ী হাট বাজারের একটি ইউক্লিপটাস গাছ ইউপি চেয়ারম্যান সামচুল হক প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে কাটতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন গ্রাম্য পুলিশ মশিয়ার রহমান ও আব্দুর জব্বারসহ চেয়ারম্যানের লোকজন।
গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী গ্রামের নুরল হকের পুত্র সফিকুল ইসলাম সরকারী গাছটি মাঝখানে সুটিবাড়ী বাজারে ঔষধের দোকান করে আসছিল। ইউপি চেয়ারম্যান সামচুল হকের ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে গাছটি ঝুকিপুর্ন মর্মে কর্তন করার আবেদন করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলামের নিকট টাকা নিয়ে গাছটি ঝুকিপূর্ন দেখিয়ে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রাম্য পুলিশের উপস্থিতিতে কর্তন করার নির্দেশ প্রদান করে সটকে পড়েন।
গ্রাম্য পুলিশ মশিয়ার রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সামচুল হকের নির্দেশ গাছটি কাটা হচ্ছিল। কিন্তু ইউএনও স্যার গাছটি কাটতে নিষেধ করার বন্ধ করে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে গাছ কর্তনের নির্দেশ প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে বিনা অনুমতিতে গাছ কর্তনের অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সামচুল হক বলেন, প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশ গাছ কর্তন করা হচ্ছিল। আজকে আবার মোবাইল ফোনে বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করায় গাছ কর্তন বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন জনস্বাথের কারনে গাছটি কেটে ফেলার জন্য প্রশাসনর নিকট আবেদন করা হয়েছিল। উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, বিনা অনুমতিতে সরকারী গাছ কর্তনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।
বার্তাবাজার/এস.আর