সেই মেধাবী ছাত্র হৃদয়ের দায়িত্ব নিলেন মুরাদনগরের ইউএনও

‘বর্তমান সমাজে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে। দেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষও মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। তাই তোমাদের লেখাপড়ার জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করবো। পড়াশোনা করে তোমরা ভালো মানুষ হবে, এ প্রত্যাশা করি।’

কুমিল্লার মুরাদনগরের ধামঘর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের গরীব মেধাবী ছাত্র হৃদয় হোসেনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলা উদ্দীন ভূঞা জনী এসব কথা বলেছেন।

রোববার দুপুরে শিক্ষার্থী হৃদয়ের খালা রোশনারার হাতে লেখাপড়ার জন্য অনুদানের টাকা তুলে দেয়ার সময় এ কথা বলে এ আশ্বাস দেন ইউএনও। এসময় ধামঘর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ও দারোরা ইউপির চেয়ারম্যান কামাল খন্দকারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ধামঘর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল কাদেরের দেয়া পাঁচ হাজার টাকাসহ তার লেখাপড়ার খরচের জন্য ইউএনও নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে মিলিয়ে নগদ দশ হাজার টাকা তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেন।

ইউএনও আলা উদ্দীন ভূঞা জনী বলেন, মুরাদনগরের দারোরা ডিসি হাই স্কুলে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে মেধাবী ওই গরীব শিক্ষার্থীর যাতে নির্বিঘেœ তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে আমরা সবসময় মেধাবীদের পাশে থাকবো।

উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের লিপি আক্তারের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন। হৃদয় হোসেন গর্ভে থাকার সময়ই তার বাবা আল আমীন তার মায়ের খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে নিরুদ্দেশ হন। অর্থাভাবে ছোট বাচ্চাদের টিউশনি করিয়ে পড়াশোনা চালিয়েছেন হৃদয়।

খালা রোশনা বেগম বলেন, অর্থকষ্টে থাকার পরও বোনের ছেলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বোনের ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। হাইস্কুলে ভর্তি করানোর পর অনেক চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু সবাই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় এখন একটু ভারমুক্ত হয়েছি। আমি আমার তার উন্নতি কামনা করি।

হৃদয় বলেন, হাইস্কুলে ভর্তির পরে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছিল মনের মধ্যে। ইউএনও ও চেয়ারম্যান মহোদয়সহ অনেকের সহযোগিতার আশ্বাসের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে দোয়া চাই। যাতে ভালো লেখাপড়া করে দেশের সেবা করতে পারি।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর