খাল পুনঃ খননের অভাবে আলু চাষিদের সেচের পানি সঙ্কট

কৃষি নির্ভর জেলা গুলোর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ অন্যতম। আলু এ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জেলার অন্যান্য উপজেলার ন্যায় সিরাজদিখান উপজেলার কৃষকরা আলুর উপর নির্ভরশীল।

এ উপজেলায় বহু আগে থেকেই কৃষকরা আলু চাষাবাদ করে আসছেন। পর পর বেশ কয়েক বছর আলুতে লোকসানের মুখ দেখলেও আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ কমেনি। চাষাবাদে খরচ বেশী হলেও লাভের আশায় কৃষকরা প্রতি বছরই তাদের জমিতে আলু রোপন করছেন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এ বছর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপন করা হয়েছে। প্রায় প্রতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ নানা কারণে চাষাবাদে বিঘ্নতা ঘটলেও চাষাবাদে নতুন এক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এ উপজেলার হাজারো কৃষক।

ফসল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে ব্যহত হচ্ছে কৃষি কাজ। শুকনো মৌসূমে কৃষি কাজে ব্যবহার্য পানির একমাত্র উৎস হচ্ছে জমি সংলগ্ন খাল। সাধারণত কৃষি জমির কাছাকাছি খাল সমূহ থেকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত পানির যোগান দেওয়া হয়। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খালগুলোতে পলি মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি শূণ্যতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন খালসমূহ খনন না করার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই খালের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। আর কয়েকদিন পর থেকেই রোপিত আলুর জমিতে পানি দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কৃষি জমিতে ব্যবহার্য পানি না পেয়ে ফসল উৎপাদনে কৃষকদের অনেকটাই বেগ পেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে উপজেলার নিচু এলাকাগুলো ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মাণের কারণে পুকুর ও জলাশয়ের সংখ্যা আগের তুলনায় কমে যাওযার কারণেও কৃষি ব্যবহৃত পানির সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খালসমূহ অবৈধ দখলের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়ে খালগুলোতে পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

সুশীল সমাজ ও অভিজ্ঞ মহল মনে করেন খালগুলো পুনঃখনন প্রয়োজন। এছাড়া অনেক কৃষক কৃষি কাজে ব্যবহার্য পানি সংঙ্কট নিরসনে উপজেলা খালসমূহ পুনঃ খননের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর জোর দাবি জানিয়েছেন।

মিজানুর/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর