বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তিন সন্তানের জননী শাপলা খাতুন (৩২) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শাপলা খাতুন উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের কোব্বাদ শেখের স্ত্রী।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ধুনট থানায় থেকে শাপলার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ভোর ৫ টার সময় শাপলা খাতুনের স্বামীর নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিলশীতলা গুচ্ছগ্রামের সোলাইমান হোসেনের মেয়ে শাপলা খাতুনের বিগত ১৫ বছর আগে কৃষক কোব্বাদ শেখের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সাংসারিক দাম্পত্য জীবনে ৩ সন্তানের জন্ম হয়।
গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে কোব্বাদ অভিমান করে বাড়ির বাইরে যায়। এরপর কোব্বাদ আলী রাত ৯ টার দিকে তার নিজ বাড়ি ফিরে স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ ঘরের ভেতর দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেয়।
প্রতিবেশী তখন থানা পুলিশকে সংবাদ দেন, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শাপলার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, শাপলা খাতুন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। রোগ যন্ত্রনা সইতে না পেরে শাপলা তার স্বামীর ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত মামলা (ইউডি) রেকর্ড করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাশেদুল হক/বার্তা বাজার/টি