শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১১

বগুড়ার শেরপুরের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করায় এলাকাবাসি সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করায় উভয়পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে শেরপুর থানায় উভয়পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে।

আহতরা হলো- মহিপুর বরই পাড়া কালীতলা এলাকার দিনারের ছেলে আশিক (১৮) স্ত্রী রাশেদা খাতুন (৪০) প্রতিবেশী বেলাল(৪২) ও তার স্ত্রী সাহানা খাতুন(৩৫), হাজিপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন(২৬), মনছের আলী(৪৮), শিপন(২৬), আরিফ(২৬), রাখি(২৪), এনামুল(২৭) আহত হয়েছে।

অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের হাজিপুর এলাকার মনসের আলী গত চার দিন পূর্বে ধানের জমিতে দাঁড়িয়ে করতোয়া নদীতে মাছ ধরছিল। এ সময় উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর(বারইপাড়া) গ্রামের দিনারের ছেলে আশিক জমির ধান নষ্ট না করার জন্য বলে এতে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনায় পৌর শহরের হাজীপুর এলাকার মনছেরের ছেলে হেলালসহ নাহিদ, আলিফ, আরিফ, রাখিসহ আরো ৬ জন চারটি মোটর সাইকেল নিয়ে ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দিনারের বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দিনারের ছেলে আশিক ও স্ত্রী রাশেদা খাতুনকে বেধড়ক মারধর করে এবং বাড়ি ভাংচুর করে। এসময় বাড়িতে থাকা প্রায় নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। সন্ত্রাসীদের মারপিটের সময় প্রতিবেশী বেলাল ও তার স্ত্রী সাহানা খাতুন এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করে।

এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ তৈরী করলে এতে উভয়পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের ১১ জন আহত হয়। পরে সন্ত্রাসীদের একটি মোটরসাইকেল রেখে তারা পালিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মহিপুর গ্রামের দিনার ও পৌর শহরের হাজিপুর গ্রামের মনছের আলী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রাশেদা খাতুন বলেন, আমি ইফতারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এ সময় ৭/৮জন ছেলে এসে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে এবং ঘরে থাকা ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

অপর অভিযোগকারী মনছের আলী বলেন, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিবাদ নিয়ে বিচারের কথা ছিল। ঘটনাটি মিমাংসার জন্য ডেকে নিয়ে গিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলে হেলালকে কুপিয়ে জখম করে এবং মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাশেদুল হক/বার্তাবাজার/ভিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর