বাঁশখালীতে নিহত কিশোরগঞ্জের রাহাতের বাড়িতে চলছে আহাজারি (ভিডিওসহ)
চট্টগ্রামের বাঁশাখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। নিহতদের মাঝে একজনের নাম মোহাম্মদ রাহাত (২২)।
টগবগে এই তরুণের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায়। হাওর অধ্যুষিত কাটখাল গ্রামের মো. ফালু মিয়ার ছেলে রাহাত। চা দোকানি বাবার সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে কিছুদিন আগেই কাজ নিয়েছিলেন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাহাত ছিল তৃতীয়।
মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে যেখানে সবাই উচ্চ মাধ্যমিকের স্বপ্ন বুঁনে সেখানে রাহাত শুধু মাত্র পরিবারের কথা চিন্তা করে সংসারের দায়িত্ব কিছুটা নিজের কাঁধে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু তা আর হলো না। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রমজান মাসে শ্রমিকদের ইফতার ও বেতনভাতাসহ নানা কারণে অসন্তোষ দেখা দিলে শুরু হয় বিক্ষোভের। শনিবার (১৭ এপ্রিল) এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দমন করতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে রাহাতসহ ৫ শ্রমিক নিহত হয়।
রাহাত ছাড়া অন্য নিহতরা হলেন- শুভ (২৩), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও রায়হান (২০)।
এদিকে রাহাতের অকাল মৃত্যুর খবর শুনে পুরো গ্রাম শোকে মুহ্যমান। বাবা-মা ও ভাই-বোনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে কাটখাল গ্রামের পরিবেশ। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন রাহাতের মা। ছেলে হারানোর শোকে পাগলপ্রায় মো. ফালু মিয়া।
রাহাতের প্রতিবেশি ভাই নুরুজ্জামান বিজয় বার্তা বাজারকে জানান, চট্টগ্রাম থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। পরামর্শ করে জানাজার সময় নির্ধারণ করা হবে। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বাঁশখালী ট্র্যাজেডির ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
বার্তা বাজার/এসজে