দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বি. এম কলেজ’র এমপিও বাতিল

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় নিয়োগ বানিজ্য ও জালিয়াতির অভিযোগে দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বি. এম কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) শাখার এমপিও বাতিল এবং এমপিওভুক্ত বর্ণিত তিন শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম কর্তনসহ প্রতিষ্ঠানটির নাম এমপিও ডাটাবেজ হতে বাদ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্নসচিব ও পরিচালক (ভোকেশনাল) ড. মোহা: আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত (৬ জানুয়ারি ২০২১) এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এমপিও বাতিলকৃত শিক্ষকরা হলেন- বাংলা প্রভাষক মো. আশাদুল ইসলাম, অফিস সহাকারী কাম হিসাব সহকারী মো. এরশাদ আলী ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের কন্যা কম্পিউটার এ্যাসিস্টেন্ট মোছা. লাবনী খাতুন।

প্রতিষ্ঠাতা মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য প্রমাণিত, এমপিও শর্তাবলী অমান্য ও ভূয়া শিক্ষকের নামে অর্থ উত্তোলন করায় এবং বেআইনিভাবে স্পেশালাইজেশন ও নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনজন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করায় তার এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিলসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।

সেই সঙ্গে তিন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল করে টাইম স্কেল বাবদ উত্তোলিত অর্থ চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খাতে জমাদাসহ তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

ছবি- বার্তা বাজার

এর আগে দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বি. এম কলেজের প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক বরাবর বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘রায়গঞ্জে কলেজ খুলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত কাজ (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০) শুরু করেছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্নসচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম মাহাবুবুর রহমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব মো. নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহবায়ক ছিলেন- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্নসচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম মাহাবুবুর রহমান এবং সদস্য যুগ্নসচিব (কারিগরি-৩) মো. আয়াতুল ইসলাম ও সহকারি পরিচালক (এমপিও) জহুরুল ইসলাম।

উক্ত তদন্তে অভিযোগ গুলো প্রমাণিত হওয়ায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল ও শিক্ষকদের এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বি. এম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১২ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ এনে ২৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মো. বাবুল আকতার নামের এক ভুক্তভোগী বাদি হয়ে আমলী আদালত রায়গঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭/১৭০।

বার্তা বাজার/এম এ মালেক/শাহরিয়া

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর