জাহাঙ্গীর মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়রে মঞ্জুর খালি এলাকা থেকে মিনু বেগম নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব-১১। হত্যার অভিযোগে আটক করেছে নিহতের সাবেক স্বামী জুনায়েদ আহমেদকে। শুক্রবার দুপুরে শত শত উৎসুক জনতার সামনে মাটি খুঁড়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী মিনু বেগমকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে সাবেক স্বামী জুনায়েদ।
র্যাব জানায়, গত ২১ মে ভোর রাত তিনটায় মিনু আক্তারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিজ বাসায় নিয়ে যায় তালাকপ্রাপ্ত সাবেক স্বামী জুনায়েদ আহমেদ। এরপর থেকেই মিনু নিখোঁজ হন ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে মিনুর কোন হদিস না পেয়ে তার মা ও তিন বোন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে জুনায়েদের বাড়ি গিয়ে মিনুর খবর জানতে চাইলে জুনায়েদ তার বর্তমান স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন মিনুর পরিবার সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ জুনায়েদের বাসা থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও নারীর মাথার লম্বা চুল জব্দ করে। মিনুর পরিবার বিষয়টি র্যাবকে জানালে র্যাব জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকা থেকে অভিযুক্ত জুনায়েদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিনুকে ধর্ষণের পর হত্যা ও পর লাশ গুমের কথা স্বীকার করে। জুনায়েদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে শুক্রবার দুপুরে র্যাব মাটি খুঁড়ে মিনুর লাশ উদ্ধার করে।
জুনায়েদ মিনুর প ম স্বামী। অন্যদিকে জুনায়েদ তার প্রথম স্ত্রী নিয়ে মিনুর বাড়ির পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। গত পাঁচ বছর আগে মিনু ও জুনায়েদ মধ্যে গোপনে বিয়ে করেন এবং এক বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে। তবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কোন প্রমান র্যাব খুঁজে পায়নি। র্যাবের ধারণা, বিবাহিত প্রতিবেশী জুনায়েদের সাথে চতুর্থ স্বামী স্বামী পরিত্যক্তা মিনুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল এবং টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধও চলছিল। এরই জের ধরে জুনায়েদ মিনুকে হত্যা করেছে বলে র্যাব ধারণা করছে।
সট : কাজী শামসের উদ্দিন : ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক (সিও), র্যাব-১১।
র্যাব জানিয়েছে, এ হত্যাকান্ডে জুনায়েদের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।