শিক্ষিতরা কেন ট্রাফিক আইন মানবে না?

সড়কের নিরাপত্তা ও আইন মানার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখেছেন, যারা অশিক্ষিত তাদের কথা ছেড়ে দেয়া গেলেও যারা শিক্ষিত তারা কেন ট্রাফিক আইন মানবে না?

নিরাপদ সড়ক দিবস, ২০১৯ উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন খামারবাড়িতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ, যারা হয়তো অশিক্ষিত, যারা জানে না, তাদের কথা আমরা ছেড়ে দিলাম। কিন্তু আমাদের যারা শিক্ষিতজন, তারা কেন ট্রাফিক আইন মানবে না? তাদেরকে ট্রাফিক আইন মানতে হবে। এটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কারও কাম্য নয়। কেউ পঙ্গু হয়ে যাক সেটা কেউ চায় না। সড়ক দুর্ঘটনায় কত মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায়। সেজন্য সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ‘কারণ দেশটা আমাদের। কারণ একটা মানুষের ক্ষতি হলে, সে যে-ই হোক, সে তো কোনো না কোনো পরিবারের। কেউ যদি মারা যায় সে তো কোনো না কোনো পরিবারের। সেই পরিবারটির ভবিষ্যৎ তখন কী হয়? সেটাও তো চিন্তা করতে হবে।’

‘নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব শুধু সরকারের বা গাড়ি চালকদের না। এ দায়িত্ব পথচারী থেকে শুরু করে দেশের সব মানুষের, সকল নাগরিকের। কাজেই সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করবেন,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজের পরিবর্তে রাস্তার মাঝ দিয়ে পার হলে যদি অ্যাক্সিডেন্ট হয় তাহলে তার জন্য আমি কীভাবে চালককে দায়ী করব? গাড়ি যারা চালান তাদের দায়িত্ব আছে, যারা চড়েন তাদেরও দায়িত্ব আছে।’

এছাড়া চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, অভিজ্ঞ এবং ভালো মানের চালকেরও মাঝে মাঝে প্রশিক্ষণের দরকার আছে। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার।

তিনি বলেন রাস্তাঘাটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু চালকদের না, পথচারীদেরকেও রাস্তায় চলাচলের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর