তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজে দুর্নীতির খোঁজে বিমানবন্দরে দুদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

অভিযোগের তীর সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশের (সিএএবি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নুরুদ্দিন, তৃতীয় প্রকল্পের পিডি মাকসুদুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসিমসহ কয়েকজন প্রকৌশলীর দিকে।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বুধবার (৪ মে) সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিস্তারিত নথিপত্র হাতে পায়নি দুদক।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (৭ মে) দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বলেন, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশের (সিএএবি) প্রধান প্রকৌশলীসহ কয়েকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নতুন ভবন নির্মাণ ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে নিজস্ব ঠিকাদারের মাধ্যমে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে রেকর্ডপত্র হাতে পায়নি দুদক। নথিপত্র হাতে পেলে দুদক টিম প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে।

অভিযান সূত্রে আরও জানা যায়, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজে নিজস্ব ঠিকাদারের মাধ্যমে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই মূলত এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। কিন্তু অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অফিসিয়াল কাজে মন্ত্রণালয়ে ও দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। টিম আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে সরবরাহের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নুরুদ্দিন, তৃতীয় প্রকল্পের পিডি মাকসুদুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসিম, ইএম শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুবাসিস বড়ুয়া, জাকারিয়া ও জাহাঙ্গীর আরিফ ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০২১-২০২২ অর্থবছরের গৃহীত প্রকল্প অনুযায়ী কাজ হয়নি। এছাড়া সিভিল এভিয়েশনের নতুন বিল্ডিং নির্মাণের ইলেকট্রিক সামগ্রী ক্রয়ে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে, প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেকের চাকরির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। সে কারণে চুক্তিভিত্তিক প্রস্তাব পাঠানোর জন্য সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে ৫০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ইতোমধ্যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য আরও ৬০ কোটি বিভিন্ন পর্যায়ে ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর