গাইবান্ধায় ১২০ টাকায় পুলিশের কনস্টেবল পদের নিয়োগপ্রাপ্ত বাছাইকৃত প্রার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল বাছাইকৃতদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (২ মে) সকালে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স ড্রিল সেডে মোট ৮৯জন কনষ্টেবলকে ট্রেনিং গমন এর জন্য সমবেত করে মিষ্টি মুখ ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ৩টি বাসযোগে ৬ মাসের জন্য বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় অভিভাবকদেরকেও মিষ্টিমুখ ও শুভেচ্ছা প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কামাল হোসেন।

পরে বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল ( টিআরসি) পদে ১২০ টাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত বাছাইকৃত প্রার্থীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রেরণের নিমিত্তে বিদায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

এর মধ্যে ৭৪জন পুরুষকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমি ও ১৫ জন নারীকে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রেরন করা হয়। বিদায়কালে তারা অশ্রুসিক্ত হয়ে পরে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-কনষ্টেবল প্রার্থী শারমিন আক্তার, সুমি আক্তার, শ্রাবন হোসেন শাওন, সাব্বির মিয়া, অভিভাবকদের মধ্যে আবু বকর সিদ্দিক।

উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ ইব্রাহিম হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস আবু লায়েচ মো: ইলিয়াস জিকো, গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, ইন্সপেক্টর হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা, কায়সার প্লাবন, আতাউর রহমান রানা, সুমন হাবিব ও অভিভাবকবৃন্দ সহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

“গাইবান্ধার মাদারগঞ্জ এর বাসিন্দা পুলিশ কনষ্টেবল প্রার্থী মিতু খাতুন” বার্তা বাজারকে বলেন- আমি পুলিশ কনষ্টেবল পদে চাকুরি পেয়েছি। আমার বাবা কৃষি কাজ করে সংসার চালান। আমি বড় মেয়ে। আমার দুই ছোট ভাই রয়েছে। চাকুরীটা আমার খুব প্রয়োজন ছিল। আজ প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে যাচ্ছি। প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশ সদস্য হতে পারলে পরিবারের পাশে দাড়াতে পারব।

প্রার্থী শারমিন আক্তার বলেন- তার বাসা সুন্দরগঞ্জ। বাবা কৃষি কাজ করেন। ছোটবেলা থেকেই পুলিশে চাকরি করার শখ। পুলিশের চাকরি ভালো লাগে। বাংলাদেশ সরকার ১২০ টাকায় চাকুরী দিয়েছে। অতিরিক্ত কেনো টাকা লাগেনি। টাকা লাগলেও আমার বাবার পক্ষে দেয়া সম্ভব হত না। এটি একটি বড় পাওয়া। পুলিশের চাকরিটা অনেক দরকার ছিল আমার। আমরা চার বোন। আমি ২য়।বাবার পাশে দাঁড়ানোর মত কোন ভাই নেই। আমি ট্রেনিংয়ে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশে যোগ দিয়ে বাবার পাশে দাঁড়াতে পারবো।”

সাব্বির মিয়া নামে এক প্রার্থী বলেন- তার বাবা, মা, নাই। তার ৩ বোন রয়েছে। পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য চাকুরীটা অনেক প্রয়োজন তার। তার চাকুরী পেয়ে সে খুব খুশী। এখন রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে ট্রেনিংয়ে যাচ্ছি। পরিবারের সদস্যদেরকে ছেড়ে একদিকে যেমন থাকা কষ্টকর। অন্যদিকে সাফল্য। মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে যেন পুলিশ সদস্য হয়ে পরিবারের হাল ধরতে পারে। সে জন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।

বার্তা বাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর