মৌ. নূরুল হকের বিরুদ্ধে মেরিন সিটি হাসপাতালে নারী কর্মীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ

টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালটি কতিপয় ব্যক্তিদের কারনে দিন দিন নারী কর্মচারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্টানটির চেয়ারম্যান মৌলানা নূরুল হক উরফে ‘পিঁয়ারা মলই’ এর যৌন হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে নির্বাহী কমিটি বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই প্রতিষ্টানের ভোক্তভূগী দুই নারী কর্মচারী।

এই সংক্রান্ত একটি স্ব-হস্তে লিখিত অভিযোগ ‘বার্তা বাজার’র হাতে এসেছে। অভিযোগ পত্রে সময় উল্লেখ না থাকলেও অভিযোগকারীরা অভিযোগটি গত ১৫ ফেব্রুয়ারী করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে হাসিনা চাকুরী ছেড়ে দিলেও আকলিমা হসপিটালের রিসিপশনের দায়িত্বে পালন করছেন।

হাসিনা ও আকলিমার যৌত স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, আমরা মেরিন সিটি হাসপাতালের রিসিপশনে দায়িত্বরত অবস্থায় প্রতিষ্টানের চেয়ারম্যান মৌলভী নূরুল হক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। বিভিন্ন সময় নানান ভাবে খারাপ অঙ্গভঙ্গী করে কথা বলে আমাদের উত্ত্যক্ত করে। প্রতিনিয়ত তার কাছে ইভটিজিং ও মানষিক ভাবে নিপিড়নের শিকার হচ্ছি। বিভিন্ন সময় মেয়েদের ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। এসব বিষয়গুলো এড়িয়ে চললে বা প্রতিবাদ করলে বেয়াদবির অযুহাত তুলে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দিতো এবং এক পর্যায়ে আমাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। এই বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক শাহ আলম ও আব্দুল আমিন জানার পরেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা নেইনি।

এদিকে অভিযোগকারী হাসিনা জানান, মৌলভী নূরুল হক একজন নারী লোভী প্রকৃতির লোক। নারীকে কতটুকু সম্মান দিতে হয় সেটার ব্যাপারে তিনি উদাসীন। বিভিন্ন সময় কু-মানষিকতা নিয়ে গা ঘেষে কথা বলার চেষ্টা করত। তার এসবের প্রতিবাদ করার পর আমাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আবু তাহের ও মাহবুবকে জানানো হলে তারা ব্যবস্থাপকের হাতে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী হাসপাতালের ব্যবস্থাপক রিয়াজুল ইসলামের হাতে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও চেয়ারম্যানের নোংরা কর্মকান্ড থামেনি। তাই বাধ্য হয়ে চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি।

অভিযোগকারী আকলিমা শুরুর দিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করতে চাইলেও পরে তিনি অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন।

হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি জানান, নূরুল হক অভিযোগকারী নারীদের তার রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়েছে এবং শরীরে হাত দেয়ার অপচেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ আকলিমার কাছে মৌখিক ভাবেও জেনেছি।

হাপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আবু তাহের জানান, অভিযোগের বিষয়টি অবগত হয়েছি। ইতিপূর্বে এই বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এই বিষয়ে মুটোফোনে অভিযুক্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান মৌলানা নুরুল হকের নিকট জানতে চাইলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ কেটেদেন। পরে কয়েক দফা কল করার পরেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর