আ.লীগ নেতার ‘জবরদখল’, বিচার না পেয়ে মা-মেয়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

আট বছর আগে নারায়ণগঞ্জের বরফা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন শিরিন আক্তার (৩৫)। অসুস্থ স্বামী, মেয়ে আর ছেলেকে নিয়ে বসবাসও শুরু করেছেন সেখানে। কিন্তু সেই বাড়ির ওপর নজর পড়েছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার। হান্নান নামের ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ওই বাড়ি ছাড়তে শিরিন ও তার পরিবারকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে এর মাত্রা এতটাই বাড়িয়েছেন যে তাকে বাড়িতেও ঢুকতে দিচ্ছেন না। অবশেষে এ ঘটনায় কোনো প্রতিকার না পেয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বরপা এলাকার শিরিন আক্তার (৩৫), তার মেয়ে শামীমা আক্তার (১৬) ও ছেলে মো. জহির খান (১০) আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

শিরিন আক্তার বলেন, ৮ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বরপা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন এবং সেখানে বসবাস করছেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান নামের দীর্ঘদিন ধরে তাকে বাড়ি ছাড়তে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। শুধু তাই নয়, হান্নান আমার নামে মামলাও করেছেন এবং হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। গত ২ মাস ধরে আমাকে বাড়ি যেতে দিচ্ছেন না।

তিনি বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। তিনি এসব যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কোথায় আছেন তা আমি জানি না। আমি স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছি। পুলিশকে জানালে তারা সহযোগিতা করছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। হান্নান বলেছেন, আমাদের আর বাড়ি না যেতে ও জমির দলিলপত্র সব দিয়ে দিতে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোনো উপায় না পেয়ে এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি। আমার আর কোনো উপায় নেই। আমার মেয়েটার ব্রেনে সমস্যা হয়ে গেছে।

আত্মহত্যার চেষ্টার পর প্রেস ক্লাব এলাকার দায়িত্বরত পুলিশ তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গাজী আনিস (৫০) নামে এক ব্যবসায়ী। সেদিন গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শাহবাগ থানা–পুলিশ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে। পাওনা টাকা না পেয়ে তিনি গায়ে আগুন দেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর