দুই দলই চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো

বিশ্বকাপ শেষ হলেও আলোচনা-সমালোচনা থেমে নেই। আর সেই আলোচনা-সমালোচনার জন্মদিয়েছেন ফিল্ড আম্পায়ার এবং বিশ্বকাপের আয়োজক খোদ আইসিসি।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ স্টিভ স্টিড বলেন, যখন সাত সপ্তাহ ধরে দুই দল প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং একটা টুর্নামেন্ট খেলে এবং ফাইনাল ম্যাচের একশ ওভার ও সুপার ওভারের পরেও যখন দুই দলকে আলাদা করা না যায়, তখন আইসিসি চাইলে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড উভয় দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে পারত।

মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমকে এমনটি বলেন স্টিড। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের মতো একই সুরে কথা বলছেন কিউই ব্যাটিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলান। তিনি বলেন, আমি বললেই তো আর খেলার ফলাফল পরিবর্তন হবে না। তবে সাত সপ্তাহব্যাপী এত বড় একটা টুর্নামেন্টের পর ফাইনালেও যখন দুটো দলকে আলাদা করা না যায়, তখন দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যেত। এটাই হতো উপযুক্ত ফলাফল।

এবারের বিশ্বকাপে নির্ধারিত ওভারে টাই হওয়ার পর খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও খেলা টাই হয়। তবে মূল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ৮টি বাউন্ডারি বেশি হাঁকানোয় ইংল্যান্ডকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

এর আগে মূল ম্যাচে শিরোপা জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে হাঁকান ছক্কা। ৩ বলে তখন প্রয়োজন ছিল ৯ রান।

ওভারের চতুর্থ বলটি স্টোকস মারেন মিড উইকেটে। সেখান থেকে বলটি কুড়িয়ে উইকেটরক্ষকের উদ্দেশে ছুড়েন মার্টিন গাপটিল। সেই সময় দ্বিতীয় রানের জন্য প্রাণপণে ছুটেন স্টোকস। গাপটিলের ছোড়া বলটি উইকেটরক্ষকের কাছে পৌঁছানোর আগেই স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। ফলে ইংল্যান্ডকে ৬ রান উপহার দেন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।

এ রানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এতে নিউজিল্যান্ডের সমান ২৪১ রান করে ম্যাচ সুপার ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। তাতেও স্কোর সমান, ১৫ করে, অর্থাৎ টাই।

থ্রোতে আম্পায়ারদের দেয়া সেই ৬ রান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা হয়। আইসিসির নিয়ম (১৯.৮) অনুযায়ী, ওভার থ্রোর বাউন্ডারির ক্ষেত্রে ফিল্ডার বল ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের পরস্পরকে ক্রস করতে হবে। তবেই সেই বাউন্ডারির সঙ্গে ফিল্ড রান যোগ হবে।

এ নিয়ম প্রযোজ্য হলে ওভার থ্রোর বাউন্ডারির সঙ্গে বাড়তি এক রান পাবে ইংল্যান্ড। অথচ ধর্মসেনা ৬ রানের (২টি ফিল্ড রান ও ওভার থ্রোর চার) সংকেত দেন। এক রান কম হলে শেষ ২ বলে ইংলিশদের জয়ের জন্য দরকার হতে ৩-এর বদলে ৪ রান। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকতেন স্টোকস। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ছবিটা বদলে যেতেও পারত। শেষ পর্যন্ত গল্পটাও ভিন্ন হতে পারত।

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর