আফগানিস্তানকে কঠিন লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্নটা জিইয়ে রাখার জন্য তো বটেই, নিজেদের ক্রিকেটীয় অহম ধরে রাখার লড়াইও এটি। এ কারণেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার। এমন একটা ম্যাচে বাংলাদেশ শুরুতেই আম্পায়ারের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তের শিকার।তবে ব্যাট হাতে জবাব দিয়েছেন টাইগাররা।আম্পায়ারের পক্ষপাতিত্ব ছাপিয়ে আফগানদের কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করে মাশরাফি বাহিনী।বাংলাদেশের হয়ে জোড়া ফিফটি করে সাকিব-মুশফিক।৫১ সাকিব এবং সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন মুশফিক।

সাউদাম্পটনের রোজ বোলে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আফগান দলনেতা গুলবাদিন নাইব।ডাকে সাড়া দিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ।তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রোজ বোল স্টেডিয়াম স্তব্ধ করে দেন আলিমদার।তার বাজে সিদ্ধান্তে কাটা পড়েন লিটন দাস। দলীয় ২৩ রানে লিটন সাজঘরে ফেরার পর দলের হাল ধরেন সাকিব-তামিম।

আজ সাকিব-তামিম সাবধানি ব্যাটিং করে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাদের জুটিতে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখেছিল টাইগার সমর্থকরা। কিন্তু দলীয় ৮২ রানে মোহাম্মদ নবীর ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। তার আগে ৫৩ বলে ৩৬ রান করেন দেশসেরা এ ওপেনার।

তামিম আউট হলেও অনবদ্য ব্যাটিং করে যান সাকিব আল হাসান। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন সাকিব। আর এই জুটিতেই ফিফটির পর মুজিব-উর-রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তার আগে ৬৯ বলে ৫১ রান করেন তিনি। আর এই রান করার মধ্য দিয় এবারের বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ৪৭৬ রান নিয়ে শীর্ষে উঠে যান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

সাকিবের বিদায়ের পর সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ের পরিবর্তে পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ রানে ফেরেন সৌম্য। দলীয় ৩২ ওভারে ১৫১ রানে লিটন দাস, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারের উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ার পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি রিয়াদ। গুলবাদিন নাইবের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৩৮ বলে দুটি চারের সাহায্যে ২৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

তবে লিটন-তামিমের বিদায়ের পর ১৮তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামা মুশফিক শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৬১ ও ৫৬ রানের জুটি গড়া মুশফিক, ষষ্ঠ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।

অন্যবদ্য ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৮৭ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৮৭ রান করে ফেরেন মুশফিক। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩৫ রান করেন মোসাদ্দেক। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর