তাকে নিয়ে কানাঘুষা ড্রেসিংরুমে, হোটেলে এবং সাংবাদিকদের মাঝে। আর সেই কানাঘুষা বিস্ফোরণ ঘটে ছড়িয়ে পড়েছে সাউদাম্পটন থেকে বাংলাদেশি ভক্তদের মাঝে। অভিযোগ উঠেছে, কঠিন প্রতিপক্ষ কিংবা ফ্ল্যাট উইকেটে ইচ্ছা করেই একাদশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বাংলাদেশি পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন।
সাইফউদ্দিনকে নিয়ে কানাঘুষা জন্ম হয় স্কোয়াডের এক ক্রিকেটারের কথার জের ধরে। সেই ক্রিকেটার এক সাংবাদিককে জানান, ভালো থেকেও ইনজুরির ভান করেছেন সাইফউদ্দিন। এরপর এ কান ও কান এবং সবশেষ পত্র পত্রিকার জেরে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আলোচনা হয় বিসিবির কর্তা ব্যক্তিদের মাঝেও।
এ ব্যাপারে শনিবার দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকার সাংবাদিক ফোনকলে সাইফউদ্দিনের কাছে জানতে চান বিষয়টি। প্রথমদিকে অপরগতা জানালেও ক্রমান্বয়ে সাইফ জানান ‘পিঠে ব্যথা আছে, পরের ম্যাচেও বোধহয় খেলতে পারব না। ফিজিও থিলান আমাকে দেখছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট সব জানে। বাইরের বিষয় নিয়ে চিন্তা করি না।’
প্রসঙ্গত, চোট সাইফউদ্দিনের পুরনো সমস্যা। টেনিস অ্যালবোর ব্যথা নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর হয়ে খেলেছেন তিনি। পিঠের যে ব্যথার কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারলেন না, সেটাও পুরনো সমস্যা। চোট পরিচর্যা করেই জাতীয় দলে খেলছেন সাইফউদ্দিন। ত্রিদেশীয় সিরিজের পর বিশ্বকাপেও চারটি ম্যাচ খেলেছেন ফেনীর এ তরুণ। হঠাৎ করেই তার বিরুদ্ধে ওঠা এই বিতর্কে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিসিবির একাধিক কর্তা ব্যক্তি।