সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করলে কঠোর আন্দোলন

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি মুক্তিযোদ্ধা কোঠা পুর্নবহাল না করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন ও উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’ নামের একটি সংগঠন। একইসাথে জানিয়েছেন আরও ৫টি দাবি

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান।

তারা বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ সনদ বাতিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত সনদ বাতিল করা হয়। তাহলে এ দেশ কারা চালায়?

তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সব সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ ও বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণসহ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর সব পদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পারিবারিক সুরক্ষা আইন ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে বিশেষায়িত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ এবং তাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে;

রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও তাদের বংশধরদের সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করতে হবে;

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব অপপ্রচার বন্ধ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সব প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে;

এবং সব সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে।

মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সংগঠগনের আহ্বায়ক অহিদল ইসলাম তুষারসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর