৩০ টাকার উপরে আলুর দাম রাখলে ব্যবস্থা

আলুর কেজি প্রতি খুচরা, পাইকারি ও হিমাগার এই তিন পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এই দামে আলুর বিক্রি নিশ্চিত করেতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠিয়েছে অধিদফতরটি।

সরকারি এই সংস্থাটি কেজিপ্রতি আলুর দাম হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

নির্ধারণ করা মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে সবজিটি বিক্রয় করেন সেজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে সম্প্রতি ডিসিদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, গত কয়েক বছর আলুর দাম কম থাকায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এ বছর দাম বাড়ায় তারা লাভবান হবেন। কিন্তু কোনোভাবেই এই সবজির দাম ৫০ টাকায় ওঠার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অবশ্যই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের মনিটরিং জোরদার করা উচিত।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, এ মৌসুমে একজন চাষির প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর ২-৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪-৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ধরে তারা এই তিন পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করেছেন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর