‘মুশফিকের ইনিংসই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে’

সাদা বলের ক্রিকেটে রান করেও সমালোচনার শিকার হচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কারণ হিসেবে তার ধীরগতির ব্যাটিংকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউতো এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, বয়স আর ফিটনেসের ভারে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারছেন না মুশি। তবে এসবের জবাব আজ ব্যাট হাতে দিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। আরও একবার জানান দিলেন পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েনি, বরং অভিজ্ঞতার ঝুলিটা ভারী হয়েছে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিক যখন উইকেটে আসেন, বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান। ইনিংসের বাকি ছিল প্রায় ১২ ওভার। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে বড় রান করতে কেউ একজনকে আক্রমণাত্মক খেলতে হতো। সেই দায়িত্বটা নিজের ঘাড়ে তুলে নেন অভিজ্ঞ মুশফিক।

উইকেটে গিয়ে শুরু থেকেই শট খেলেছেন। সাকিব-হৃদয়ের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এদিন এক প্রান্তে ঝড় তুলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। যদিও শেষ পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। এর আগে সমান ৩টি করে চার-ছক্কায় ২৬ বল খেলে ৪৪ রান করেছেন। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৭০ স্ট্রাইকরেটে।

মুশির এমন ইনিংস নিশ্চিই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বিশেষ করে যে মুহূর্তে ব্যাটিংয়ের গিয়ার পরিবর্তনের দরকার ছিল, সেই সময়ে কাজটা একেবারে ঠিক-ঠাকমতোই করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ফলে ম্যাচ শেষে তার প্রশংসা ঝড়েছে তামিম ইকবালের কণ্ঠেও।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘মুশির ইনিংস ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানাই। গত ১৭ বছর ধরে সে এই কাজটাই করে আসছে। মানুষ ভুলে যায় যে, সবারই ভালো সময়-খারাপ সময় থাকে। সে (মুশফিক) সত্যিই দুর্দান্ত।’

ব্যাটিংয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়ার পর বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে এবাদত-নাসুমরা নিজদের আরও একবার প্রামণ করেছেন। তাইতো ম্যাচ শেষে তাদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ্য করেছেন অধিনায়ক।

তামিম বলেন, ‘এবাদত বিশ্বমানের বোলার। বিশেষভাবে নাসুমের কথা স্বরণ করতে চাই। সে (নাসুম) খুব বেশি ওয়ানডে খেলেনি কিন্তু যখনই সুযোগ পেয়েছে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে।’

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর